কীভাবে দিন কাটছে জেলবন্দি লালু প্রসাদের?

১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকার দেওঘর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় আরজেডি প্রধান সহ ২১ জনের। ২১ বছর ধরে চলা এই মামলায় ২৩ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালু সহ ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। সেই সঙ্গে এই মামলায় নাম জরানো বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র সহ বাকি ছ'জনকে বেকসুর খালাস করা হয়।

Updated By: Dec 28, 2017, 06:02 PM IST
কীভাবে দিন কাটছে জেলবন্দি লালু প্রসাদের?
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারীতে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বিহারের আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। ৩ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তাঁকে রাখা হয়েছে রাঁচীর হটোয়ার জেলে। সেখানে আপার ডিভিশন সেলে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। তবে, শীতের মধ্যে জেলে কেমন রয়েছেন তিনি? কতটা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এই ভিভিআইপি বন্দি?

ঝাড়খণ্ডের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্র প্রভাত খবরের প্রতিবেদন অনুসারে, জেলে থাকলেও লালুর প্রতিপত্তিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। শুধুমাত্র 'কয়েদি' শব্দটাই যা বসেছে তাঁর নামের আগে। বাকি সব কিছুতে আগের মতোই দাপুটে আরজেডি প্রধান।

কার্যত ছুটির মেজাজে থাকা লালু প্রসাদের দিন শুরু হচ্ছে চা ও খবরের কাগজ নিয়ে। সঙ্গে থাকছে তাঁর পছন্দের টোষ্ট বিস্কুট। এছাড়া কখনও সুইট কর্ন, মটরসুটি ভাজা, আবার কখনও পালং শাক, বেগুনভাজা ও কাঁচালঙ্কা। সকালে ও দুপুরে খাবারের তালিকায় থাকছে সুগন্ধি চালের ভাত, অড়হড় ডাল ও সবজি। এছাড়াও বাড়ি থেকে প্রতিদিনই আসছে সংকট মোচন মন্দিরের প্রসাদ। জেলে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরে টিভির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। আর্জি মেনে এসেছে টিভিও। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, দিনের অধিকাংশ সময় টিভিতে খবর দেখছেন তিনি। বাকি সময়, ওই জেলেই একাধিক মামলায় বন্দি সাংসদ আরকে রানা, রাজনীতিবিদ জগদীশ শর্মা, সৌনা লাকরা, রাজা পিটার ও কমল কিশোর ভগতের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন আরজেডি প্রধান। তাঁদের সঙ্গে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় রাজানীতি থেকে খেলা, সব নিয়েই রীতিমতো আলোচনা চলছে তাঁর।

আরও পড়ুন- 'লালু প্রসাদের জেল নরেন্দ্র মোদীর খেল', প্রতিক্রিয়া আরজেডির

এদিকে, জেলের খুব কাছেই আপার ডিভিশন সেলের মেস। ফলে এই সেলের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মেস থেকে মাঝেমধ্যেই চলে আসছে নোনতা খাবার। সঙ্গে চা। ফলে, সকাল ও বিকেলের দিকটায় জমে উঠছে আড্ডা।

১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকার দেওঘর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় আরজেডি প্রধান সহ ২১ জনের। ২১ বছর ধরে চলা এই মামলায় ২৩ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালু-সহ ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সেই সঙ্গে এই মামলায় নাম জরানো বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র-সহ বাকি ছ'জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আরজেডি বিহার হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে লালুপুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দাবি, আদালতের রায়কে প্রভাবিত করেছে বিজেপি। কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গুলি হেলনেই আদালত এই রায় দিয়েছে, বলেও দাবি লন্ঠন শিবিরের।

.