২০০৮ সালে মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণের কথা জানিই না, আদালতে বললেন প্রজ্ঞা
ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে মোককা-য় আনা অভিযোগ তুলে নিয়েছে এনআইএ

নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআইএ আদালতে হাজিরা দিয়ে আজব কথা শোনালেন ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।
শুক্রবার মুম্বইয়ে এনআইএর আদালতে হাজিরা দেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহরাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে কোনও বিস্ফোরণ হয়েছিল এমন কথা তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন-নেতাদের 'মুণ্ডু কাটার' হুমকি দিয়ে ফের পোস্টার পড়ল বিজেপি পার্টি অফিসে
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৬ জনের। আহত হন ১০০ জন। একটি বাইকে রাখা বিস্ফোরক থেকেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১৭ সালে ওই মামলায় তিনি জামিন পান। তবে তাঁকে নিয়মিত হাজিরা দিতে বলে আদালত।
গত সপ্তাহে দুবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আদালতে তিনি হাজিরা দেননি। শুক্রবার এনআইএ আদালতে এসে কাঠগড়ায় আসন বিছিয়ে বসে পড়েন তিনি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণ হয়েছিল তা তিনি জানেন কিনা। প্রজ্ঞা বলেন, ‘না, কোনও কিছুই জানি না।’
এনআইএ আদালতের বিচারপতি প্রজ্ঞাকে বলেন, ‘১১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবার প্রমাণিত হয়েছে সেদিন মালেগাঁওয়ে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। কে এর সঙ্গে জড়িত তা আপনার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আপনি কি জানেন ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটা বিস্ফোরণ হয়েছিল?’ প্রজ্ঞা বলেন, ‘কিছুই জানি না।’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে অনড়, নীতি আয়োগের বৈঠকে নেই মমতা
বৃহস্পতিবারই আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল প্রজ্ঞার। কিন্তু প্রজ্ঞার আইনজীবী সওয়াল করেন, বিজেপি সাংসদের রক্তের চাপ অত্যান্ত বেশি। তাঁকে হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঠাকুরের ডিহাইড্রেশন হয়েছে, প্রসার রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনের সমস্যা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে মোককা-য় আনা অভিযোগ তুলে নিয়েছে এনআইএষ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে করা অভিযোগ এখনও রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণে তিনি এখন জামিনে মুক্ত।