নিউ ইয়র্কে উদ্বোধন হল এসেল গ্রুপের নেচার কিওর সেন্টার ইয়ো-ওয়ান
৩ লাখ বর্গফুটের ইয়ো-ওয়ান, আমেরিকার সবচেয়ে বড় নেচার কিওর সেন্টার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাচীন ভারতের চিকিত্সাশাস্ত্র এবার পৌঁছে গেল মার্কিন মুলুকে। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে উদ্বোধন হল সে দেশের বৃহত্তম নেচার-কিওর পরিষেবার। সেখানে থাকছে আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, আকুপাংচার, ফিজিওথেরাপির মতো ভারতীয় ধারার বিভিন্ন চিকিত্সাপদ্ধতি। পরিষেবা কেন্দ্রের নাম ইয়ো-ওয়ান। সংস্কৃতে যার অর্থ যৌবন। এসেল গ্রুপের উদ্যোগে নিউ ইয়র্কে ৩০০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এই নেচার কিওর সেন্টার। এদিন দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইয়ো-ওয়ানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিউ ইয়র্কের উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর সুভাষ চন্দ্র।
কী থাকছে এই ইয়ো-ওয়ানে?
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে আমেরিকাকে এসেল গ্রুপের উপহার এই ইয়ো-ওয়ান। যোগ এবং আয়ুর্বেদের স্পর্শে কীভাবে সুস্থ শরীর ও মন পাওয়া যায় তা এবার শিখবে আমেরিকা।
দিল্লি থেকে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার দূরে আমেরিকার নিউইয়র্কে ক্যাটস্কিলের পাহাড়ি এলাকায় গড়ে উঠেছে ইয়ো-ওয়ান। সংস্কৃত যৌবন শব্দের অনুসঙ্গে প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে এই নেচার কিওর সেন্টার। প্রায় ১৪০০ একর সবুজের মাঝে ২০০ একরে গড়ে উঠেছে ইয়ো-ওয়ান ক্যাম্পাস।
৩ লাখ বর্গফুটের ইয়ো-ওয়ান, আমেরিকার সবচেয়ে বড় নেচার কিওর সেন্টার। প্রাচীন ভারতীয় জীবন পদ্ধতির সঙ্গে আমেরিকার পরিচয় করাতে এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর সুভাষ চন্দ্র ইয়ো-ওয়ানের স্বপ্ন দেখেন। যা মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই সফল হয়েছে।
২০১৩ সালে ডক্টর সুভাষ চন্দ্র নিউইয়র্ক শহর থেকে দেড় ঘণ্টা দূরে ক্যাটস্কিল পাহাড়ি এলাকার মন্টিসেলোয় ১৪০০ একর জমি কেনেন। এখানেই ২৫ কোটি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি হয়েছে ইয়ো-ওয়ান নেচার কিওর সেন্টার। যোগ, প্রাণায়ম শেখার পাশাপাশি এই সেন্টারে আয়ুর্বেদ, নেচারোপ্যাথি, হাইড্রোথেরাপি, ফিজিওথেরাপি, আকুপাংচারের সুবিধা মিলবে। এরফলে শুধু তরতাজা থাকাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
#YO1
LIVE - RS MP @subhashchandra
addresses the world at innaugration ceremony of wellness centre at US.WATCH LIVE - https://t.co/dznYNHgjUN@narendramodi pic.twitter.com/5BNImxW47P
— Zee News (@ZeeNews) June 21, 2018
এখানে যাঁরা আসবেন, ইয়ো-ওয়ানের প্রশিক্ষিত কর্মীরা সঠিক খাবার এবং তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও তাঁদের বুঝিয়ে দেবেন। বর্তমানে আমেরিকার অন্যতম বড় সমস্যা মোটা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবেন মার্কিনিরা। এখানে রয়েছে তিন থেকে দশ দিনের নানা কোর্স যার মাধ্যমে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে হয়ে ওঠা যাবে তরতাজা। ইয়ো-ওয়ানে রয়েছে ১৩১টি ঘর, চিকিত্সার আসল উপকরণ এবং বিশেষজ্ঞ দল। আছে ৫ হাজার বর্গফুটের ইন্ডোর সুইমিং পুল, বিশেষভাবে তৈরি হাঁটার রাস্তা এবং পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা। ডক্টর সুভাষ চন্দ্রের এই প্রয়াসের প্রশংসা করেছে নিউইয়র্ক অ্যাসেম্বলি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগের সন্ধেয় এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা দেয় তারা। নিউইয়র্কের তুলনায় পিছিয়ে পড়া এই এলাকার ৫০০ বাসিন্দার সরাসরি কাজের সুযোগ তৈরি করে দেবে ইয়ো-ওয়ান। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে দেড় হাজার। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিউইয়র্কেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব দেন।
#YO1
LIVE - PM @narendramodi to unveil centre shortlyWATCH LIVE - https://t.co/dznYNHgjUN@narendramodi@subhashchandra pic.twitter.com/WVDJNXUahQ
— Zee News (@ZeeNews) June 21, 2018
চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে নিউইয়র্কেই ইয়ো-ওয়ানের যাত্রা শুরু। গতির জীবনে কীভাবে নীরোগ থাকতে হয়, আমেরিকানরা ইয়ো-ওয়ানে এসে তা শিখতে পারেন। জানতে পারেন প্রাচীন ভারতীয় জীবন পদ্ধতি যা আবহমান কাল ধরে সুস্থ শরীর-মনের হদিশ দিয়ে আসছে।