ভ্যাকসিন কিনতে টেবিল আলোচনাতেই দেরি করেছে ভারত: ভাইরোলজিস্ট

''সংকটকালে বাজারে যে যে ভ্যাকসিন উপলব্ধ ছিল, সেই ভ্যাকসিনের দিকেই হাত বাড়াতে হয় ভারতকে''। 

Updated By: May 24, 2021, 10:43 AM IST
ভ্যাকসিন কিনতে টেবিল আলোচনাতেই দেরি করেছে ভারত: ভাইরোলজিস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বৈঠক করেই দিন গিয়েছে। টেবিলেই সময় নষ্ট। তাই ভ্যাকসিন কিনতে অনেক দেরি করেছে ভারত'। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন প্রথম সারির সেরা ভাইরোলজিস্ট (virologist) Dr Gagandeep Kang।  যিনি এই সংকটকালে সুপ্রিম কোর্টে মেডিক্যাল অক্সিজেন কমিটির অন্যতম সদস্য। 

ঠিক কী অভিযোগ করেছেন ডাঃ গঙ্গাদ্বীপ কাঙ্গ (Dr Gagandeep Kang)? 

জাতীয় স্তরের এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, 'যখন গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনাকে (Corona) দমন করার জন্য ভ্যাকসিনের (Vaccine) খোঁজ চলছিল, এমনকি কোনটা ভাল, কোনটা নয়, সেই বিচারও হয়ে গিয়েছে। ওর্ডার পৌঁছে গিয়েছে সবুজ সংকেত পাওয়া ভ্যাকসিন (vaccine) নির্মাতাদের কাছে, তখনও টেবিলে আলোচনায় বসে ভারত। এরপর সংকটকালে বাজারে যে যে ভ্যাকসিন উপলব্ধ ছিল, সেই ভ্যাকসিনের (Vaccine) দিকেই হাত বাড়াতে হয় ভারতকে'। 

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থের হার বেশি, তবে মৃত ৪ হাজার ৪৫৪

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ভ্যাকসিনের ক্রমবর্ধমান ঘাটতির মধ্যে তৃতীয় কোভিড তরঙ্গের আভাস মিলেছে। ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য অনেক সংস্থা এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আবার দেখা গিয়েছে, অনেক রাজ্যে, ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলিতে ক্রমহ্রাসমান সরবরাহের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক সংস্থা। 

তিনি বলেন, 'যদি আমরা Zydus Cadila, Biological E সহ অন্যান্য কোম্পানির ভ্যাকসিনকে ট্রায়াল রানের পর সবুজ সংকেত দেওয়া যায়, তাহলে আগামী দিনে আরও বেশি ডোজ পেতে পারি আমরা। যতটা সম্ভব নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে হবে'। 

আরও পড়ুন: Corona-র উৎপত্তি স্বাভাবিক নয়, অবিলম্বে China গিয়ে তদন্ত হোক : মার্কিন শীর্ষ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রশ্ন করা হয়, আপনার কী মনে হয়, ভ্যাকসিন কর্মসুচিতে সরকারের বেশি বিনিয়োগ করার প্রয়োজন ছিল?

 Dr Gagandeep Kang বলেন, 'হ্যাঁ, আমি মনে করি আমাদের সেই ঝুঁকিটা নেওয়া উচিত। বিনিয়োগ সবসময় লাভজনক হবে এমনটা নয়'। প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে একাংশ ভ্যাকসিন সংগ্রহের ভারতের নীতির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

আরও পড়ুন: আপনি Covid Positive! জানান দেবে কুকুর

তাঁর কথায়, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের মার্চ মাসেই অপারেশন 'ওয়ার্প স্পিড' এর আওতায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল, যখন ভ্যাকসিনও তৈরি হয়নি। কিন্তু, ভ্যাকসিন সম্পূর্ণভাবে তৈরির আগে ভারত ভ্যাকসিন কর্মসূচির জন্য মেডিক্যাল উন্নতিতে কোনও বিনিয়োগ করেনি, কার্যত ভ্যাকসিন সংস্থার কাছে অর্ডারও পৌঁছায়নি'। 

সিরিমের ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) প্রথম পর্যায়ে ১১ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করেছে এবং ভারত বায়োটেক ৫.৫ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করেছে, যা ১  জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। সূচনায়, প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।  এখন ১৮-র ঊর্ধ্বে সকলেই ভ্যাকসিন নিতে পারেন। কিন্তু ভ্যাকসিনের আকালে সেই কর্মসূচি বেশ কিছু জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। 

.