JNU-র উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব পড়ুয়াদের
অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন উপাচার্যের স্ত্রী। তাঁকে রীতিমতো হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে তাণ্ডব চালালেন পড়ুয়ারা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না JNU-র উপাচার্য এম জগদেশ কুমার।
অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন উপাচার্যের স্ত্রী। তাঁকে রীতিমতো হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য অধ্যাপকদের স্ত্রীরা গিয়ে উপাচার্যের স্ত্রীকে উদ্ধার করেন।
তিনি এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে মানসিক ধাক্কা পেয়েছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রছাত্রীরা জড়িত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রার্থী হতে না পেরে বিস্ফোরক চিঠি লিখলেন মুরলী মনোহর জোশী
প্রসঙ্গত, JNU-তে অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে বসেছেন বামপন্থী পড়ুয়ারা। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদেরই একাংশ উপাচার্যের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা জোর করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা জোর করে উপাচার্যের স্ত্রীকে আটকে রাখেন। সেখানে তাণ্ডব চালান। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন: জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য দিতে চান বিজয় মালিয়া
ঘটনাস্থলে পুলিস গেলেও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি উপাচার্য। মঙ্গলবার সকালে তিনি ট্যুইট করে জানান, পড়ুয়াদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।
While last night's violent behavior by students in front my JNU residence is condemnable, neither me nor my wife will file a police complaint against the students. We have forgiven them. Wish them the best and hope they will reform and not repeat such acts in future.
— Mamidala Jagadesh Kumar (@mamidala90) March 26, 2019
এদিকে এক ছাত্রের দাবি, তাঁরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উপর অত্যাচার চালান। কয়েকজন পড়ুয়া জখমও হন। আহতদের মধ্যে JNU-এর ছাত্র সংসদের সভাপতি এন সাই বালাজিও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশের গড় রক্ষায় ৪০ তারকা প্রচারককে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি
এর আগেও উপাচার্যের বাড়িতে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তখন পড়ুয়াদের দাবি নিয়ে নাকি উপাচার্য কোনও কথাই বলেননি। বরং তিনি মিষ্টি খাইয়ে পড়ুয়াদের বিদায় করে দিয়েছিলেন।