কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়া আসনে হারল বিজেপি
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ কর্নাটক বিজেপি-তে নতুন সঙ্কট তৈরি করল উদুপি-চিকমাগালুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। গত অগাস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই কেন্দ্রের সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন ডিভি সদানন্দ গৌড়া। এদিন ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী কে জয়প্রকাশ হেগড়ের কাছে ৪৫,৭২৪ ভোটে হেরেছেন সদানন্দ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা ভি সুনীল কুমার।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ কর্নাটক বিজেপি-তে নতুন সঙ্কট তৈরি করল উদুপি-চিকমাগালুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। গত অগাস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই কেন্দ্রের সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন ডিভি সদানন্দ গৌড়া। এদিন ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী কে জয়প্রকাশ হেগড়ের কাছে ৪৫,৭২৪ ভোটে হেরেছেন সদানন্দ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা ভি সুনীল কুমার। প্রাক্তন মন্ত্রী জয়প্রকাশ হেগড়ে ৩,৯৮,৭২৩টি এবং সুনীল কুমার ৩,৫২,৯৯৯টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা জনতা দল (সেকুলার) প্রার্থী এস এল ভোজে গৌড়া পেয়েছেন ৭২,০৮০ ভোট।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উদুপি-চিকমাগালুরে ডি ভি সদানন্দ গৌড়ার কাছে ২৭,০০০-রও বেশি ভোটে হেরেছিলেন কে জয়প্রকাশ হেগড়ে। সে সময় এইচ ডি দেবগৌড়ার দল প্রার্থী না-দিয়ে কৌশলগত সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেসকে। এবার জনতা দল(এস) ভোটে লড়া সত্ত্বেও ভোটের পাটিগণিতের হিসেবে কংগ্রেসের এই জয়কে চমকপ্রদ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
১৯৭৭ সালের লোকসভা ভোটে রায়বরেলি কেন্দ্রে জনতা পার্টির প্রার্থী রাজনারায়ণের কাছে পরাজিত হওয়ার পর এই চিকমাগালুর (ডি লিমিটেশনের পর নয়া নাম উদুপি-চিকমাগালুর) থেকেই উপনির্বাচনে জিতে সংসদের নিম্নকক্ষে পা রেখেছিলেন। আর সেই সঙ্গেই দেশ জুড়ে পুনরুত্থান ঘটেছিল কংগ্রেসের। এদিনের জয়ে উজ্জীবিত কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ফের কন্নড় মুলুক থেকেই পুনরাবৃত্তি হবে সেই ইতিহাসের।
নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট থেকেও এদিন অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের ধাক্কা এসেছে গেরুয়া শিবিরে। মানাসা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাবুজি থাকোরের কাছে ৮,০০০-এরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি'র দশরথ প্যাটেল। রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা বিজেপি'র প্রভাবশালী নেতা মঙ্গলদাস প্যাটেলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনটিতে তাঁরই আত্মীয় দশরথকে টিকিট দিয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু সহানুভূতি ভোট পাওয়ার সেই কৌশল কাজে আসেনি।
কর্নাটকের পাশের রাজ্য কেরল থেকেও এদিন সুখবর এসেছে একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়ে ধ্বস্ত কংগ্রেস শিবিরে। পিরাভম বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোটের প্রার্থী অনুপ জ্যাকব। অনুপের বাবা, কেরল কংগ্রেস (জে)-এর সভাপতি টি এম জ্যাকবের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছিল এই আসনটি।
দক্ষিণ ভারতের অন্য এক রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে অবশ্য সোনিয়া গান্ধীর দলের পরাজয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ভাঁড়ার শূন্যই থেকে গিয়েছে। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) একাই দখল করেছে আদিলাবাদ, কোল্লাপুর, কামাররেড্ডি এবং স্টেশন-ঘানপুর আসন চারটি। নগরকুরনুল আসনটি গেছে টিআরএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী তথা দলত্যাগী তেলুগু দেশম নেতা নাগম জনার্দন রেড্ডির দখলে। অবশিষ্ট ২টি আসন- কোভুর এবং মেহবুবনগর ভাগাভাগি করে নিয়েছে জগনমোহন রেড্ডির `ওয়াই এস আর কংগ্রেস` এবং বিজেপি।
তামিলনাড়ুর শঙ্করণ-কোভিল বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ৬৮,৭০০ ভোটে ডিএমকে প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন শাসকদল এডিএমকে'র এস মুথুসেলভি। অন্যদিকে ওড়িশার আথগড় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতেছেন বিজু জনতা দলের প্রার্থী রনেন্দ্র প্রতাপ সোয়াইন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সুরেশ মহাপাত্রর সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান ৪৭,০০০।