বিজেপির থেকে বেশি ভোট পেয়েও কর্ণাটকে ভরাডুবি কংগ্রেসের
ভোটের হার বেশি হলেও আসন সংখ্যায় বিজেপিকে হারাতে পারল না কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটকে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধীর হাতছাড়া হল আরও একটা রাজ্য। কিন্তু দক্ষিণের এই রাজ্যে ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, প্রাপ্ত ভোটের হারে বিজেপির চেয়ে এগিয়ে কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, বিজেপির থেকে প্রায় ১.৫ লক্ষ ভোট বেশি পেলেও আসনপ্রাপ্তির নিরিখে অনেক পিছিয়ে হাত শিবির।
এখনো পর্যন্ত গণনা অনুসারে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। সেখানে ৩৬.৭ শতাংশ ভোট গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। জেডিএস পেয়েছে ১৭.৭ শতাংশ। অর্থাত্ বিজেপির থেকে ১.৩ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। এই পরিসংখ্যানই বলছে, স্ট্রাইকিং রেটে কংগ্রেসকে মাত দিয়েছে বিজেপি। কম ভোট পেয়েও তা আসনে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে তারা। এর পাশাপাশি বিরোধী ভোট ভাগাভাগির সুফলও পেয়েছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, কংগ্রেস ও জেডিএসের মিলিত ভোটের হার ৫৫.৭ শতাংশ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনী কৌশলেই বিরোধীদের কুপোকাত করছে বিজেপি। কীভাবে? সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট নিয়ে ৩৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের চেয়ে সামান্য কম ৪২.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে মাত্র ১৬টি আসন পেয়েছে সিপিএম। আরএসপি (০.৮%) ও সিপিআই (০.৮%) যোগ করলে বিজেপির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বামফ্রন্ট। কিন্তু আসন সংখ্যায় তা প্রতিফলিত হয়নি।
কেন এমনটা হচ্ছে?
অনেকেই বলছেন, কর্পোরেট কায়দায় দক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা করছে বিজেপি। সর্বস্তরের ভোটারদের বা সব কেন্দ্রে জয়ের লক্ষ্য মাঠে নামছে না তারা। বরং কেন্দ্র ধরে ধরে টার্গেট ভোটার ও সম্ভাবনাময় কেন্দ্র স্থির করছে গেরুয়া শিবির। সেই কেন্দ্রগুলিতে নির্দিষ্ট অংশের ভোটারদের উপরেই মনোনিবেশ করা হচ্ছে। অর্থাত্, ভোটারদের মেরুকরণ করে একটা অংশের সঙ্ঘবদ্ধ ভোট নিজেদের দিকে টানছে বিজেপি। এর ফলে সামান্য ব্যবধান রেখেই বিরোধীদের বলে বলে মাত দিচ্ছেন মোদী-শাহ।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকে ভরাডুবির পর ইভিএম কারচুপির অভিযোগ কংগ্রেসের