দশ বছর ধরে নিজের মামলা নিজেই লড়লেন কর্নাটকের ইঞ্জিনিয়ার
কর্নাটকের বাগলকোট জেলার বাসিন্দা শিবপ্রসাদ সজ্জন। এক মহিলাকে অশ্লীল ইমেল এবং ছবি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সজ্জনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানানোর পরই ২০০৮ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আসামী যখন আইনজীবী এবং নিজেই তাঁর মামলা লড়ে- তখন বিষয়টি কেমন দাঁড়ায়? অবাক হচ্ছেন না! কর্নাটকের এক যুবক তেমনই কাণ্ড ঘটিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে আইন মহলে। তবে নিজেকে শেষ অবধি রক্ষা করতে পারেননি তিনি। সাইবার অপরাধ মামলায় শুক্রবার তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় বেঙ্গালুরু আদালত।
কিন্তু তাঁর লড়াইয়ে ‘কুর্নিশ’ জানাচ্ছেন অনেকেই। কেন?
আরও পড়ুন- নীতীশের শারীরিক অসুস্থতার মেডিকেল রিপোর্ট দাবি করলেন তেজস্বী
কর্নাটকের বাগলকোট জেলার বাসিন্দা শিবপ্রসাদ সজ্জন। এক মহিলাকে অশ্লীল ইমেল এবং ছবি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সজ্জনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ জানানোর পরই ২০০৮ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। তবে, নিজের মামলা লড়ার জন্য আইনজীবীর দ্বারস্থ না হয়ে নিজেই কিছু করার কথা ভাবতে শুরু করেন সজ্জন। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে আইন নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশুনা শুরু করেন তিনি। এমনকি নিজের মামলা লড়তে নিজেকেই আইনজীবী হিসাবে দাঁড় করান সজ্জন। পুলিসের দাবি, আইনের নানা ফাঁক ফোঁকড় বার করে দশ বছর ধরে নিজের মামলা এগিয়ে নিয়ে যান সজ্জন। অনেক সময় সজ্জনের আইনের ব্যাখ্যা শুনে থ বনে যেতেন বিপক্ষের আইনজীবী।
আরও পড়ুন- মোদী নয়, ২০১৯-এর মুখ বেছে ফেলল বিজেপি
উল্লেখ্য, সজ্জনের এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিআইডিও। তবে, শেষ রক্ষা হল না তাঁর। শুক্রবার সজ্জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বেঙ্গালুরু আদালত। সজ্জনকে দু’বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।