নিরাপত্তা চেয়ে মুম্বই পুলিসের দ্বারস্থ কর্নাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা

বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার রমেশ কুমার। সে দিন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের উপরই এখন নির্ভর করছে কর্নাটকের সরকারের ভবিষ্যত্

Updated By: Jul 15, 2019, 02:01 PM IST
নিরাপত্তা চেয়ে মুম্বই পুলিসের দ্বারস্থ কর্নাটকের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: আইসিইউ-তে থাকা রোগীর শারীরিক অবস্থা প্রতি মুহূর্তে যেমন ওঠা-নামা করে, কর্নাটকের সরকারের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে। রবিবার জানা যাচ্ছিল, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কয়েকজন ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন। আশার আলো দেখছিলেন কুমারস্বামী-সিদ্দারামাইয়ারাও। কিন্তু ফের ছন্দপতন। আজ কংগ্রেস-জেডিএস-এর শীর্ষে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন ১৪ বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। তাঁরা রয়েছেন মুম্বইয়ের একটি হোটেলে। পুলিসের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিধায়করা।

মুম্বই পুলিসকে চিঠি দিয়ে বিধায়করা জানান, মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ বা মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি নন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিধায়ক পদ বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, সব বিধায়কের উপর হুইপ জারি করেছে জেডিএস এবং কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা শিবাকুমার জানান, বিধায়কদের উপর হুইপ জারি রয়েছে। বিধানসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ না করলে দলের নিয়ম অমান্য করা হবে। তাঁদের বিধায়ক পদ বাতিল হতে পারে।

বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার রমেশ কুমার। সে দিন সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের উপরই এখন নির্ভর করছে কর্নাটকের সরকারের ভবিষ্যত্। কিন্তু এই অল্প সময়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কের মন গলানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সিদ্দারামাইরা। এমটিবি নাগরাজ জানান, আমি এবং সুধাকর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সব নেতারা বুঝিয়েছেন কংগ্রেসে থাকার জন্য। তাই দলেই এখন রয়েছি। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, “সুধাকর এবং অন্যান্যদের বোঝানোর চেষ্টা কর ইস্তফাপত্র তুলে নেওয়ার জন্য।” তবে, জানা যাচ্ছে বেশ কিছু শর্ত তাঁরা রেখেছেন।

আরও পড়ুন - গরুর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ! যোগীর রাজ্যে বরখাস্ত ৮ সরকারি কর্তা

এর আগে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ঘরে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীদের জোর করে ইস্তফা দেওয়ানো হয়। যাতে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ওই জায়গায় বসানো যায়। এর পরও তাঁদের মন গলানো যায়নি। উলটে স্পিকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিক স্পিকার। পরে, স্পিকার রমেশ কুমার সুপ্রিম কোর্টে জানান, এক সঙ্গে এত কটা ইস্তফাপত্র গ্রহণের আগে নিয়ম মেনে খতিয়ে দেখা উচিত। তার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এর পর সুপ্রিম কোর্ট ইস্তফা কাণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি করে জানিয়ে দেয় মঙ্গলবার এর পরবর্তী শুনানি হবে।

বিক্ষুব্ধ বিধায়কের ইস্তফাপত্র স্পিকার গ্রহণ করলে, সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। শরিক-সহ তাদের ১১৮টি বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনের (এর মধ্যে ২ জন নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। এবং তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন বলে জানান।) ইস্তফা গৃহীত হয়, তাহলে ১০০ সংখ্যা দাঁড়াবে জোট সরকারের। বিজেপির হাতে ১০৫ বিধায়ক রয়েছে। সঙ্গে দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন মিলতে পারে। সহজই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারবে বিজেপি। 

.