একলা চলোতে নেই, জোটে রাজি প্রদেশ কংগ্রেস, বাকি গান্ধী পরিবারের সম্মতি
তৃণমূলকে হঠাতে বামেদের সঙ্গে জোটই একমাত্র বিকল্প। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এমনটাই সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। গতকাল দিল্লিতে কংগ্রেস প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বৈঠকে বসেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস।
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলকে হঠাতে বামেদের সঙ্গে জোটই একমাত্র বিকল্প। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এমনটাই সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। গতকাল দিল্লিতে কংগ্রেস প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বৈঠকে বসেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস।
রাহুল গান্ধীর সলঙ্গে বৈঠকের আগেই বামেদের সঙ্গে জোট গড়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিল প্রদেশে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসকে হঠাতে সম্মানজনক শর্তে বামেদের সঙ্গে জোটই একমাত্র বিকল্প। সিদ্ধান্ত রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের। দিল্লিতে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধীর,সোমেন, মান্নান, মানস দীপা, অভিজিত্ সহ অন্যান্য সাংসদ নেতারা। আজই সকাল সাড়ে দশটায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা। গত ৪০ বছর ধরে যে দলের বিরুদ্ধে লড়াই চলেছে তাদের সঙ্গে জোট হলে কী হবে তা নিয়ে অবশ্য বৈঠকে একাধিক মত উঠে আসে। আদৌ বামেদের ভোট কংগ্রেসের ঘরে আসবে কিনা তানিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন দীপা দাশমুন্সিরা। একলা চলার পক্ষে থাকা মানস ভুঁইঞা শেষ পর্যন্ত অবশ্য জোট প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। তবে আসন সমঝোতা কী হবে তা নিয়ে উঠে এসেছে নানা মত। ইতিমধ্যেই অধীর অনুগামী নীলাঞ্জন রায় অমিতাভ চক্রবর্তীরা রাগুলের কাছে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বামেদের সঙ্গে জোট হলে ১০২ আসন কংগ্রেসের হাতে থাকা উচিত। আর একক শক্তিতে লড়াই করলে ১৭০টি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে কংগ্রেসের। এই অবস্থায় প্রদেশের সমস্ত শীর্ষ নেতার এই দাবি রাহুল মেনে জোটের পক্ষে সায় দেবেন না কি ভিন্ন মত পোষণ করবেন বেটাই এখন দেখার।