একজোটে সংসদে ধরনায় বাম-তৃণমূল
গরজ বড় বালাই। সংসদে কংগ্রেসের ধরনায় এক সঙ্গে দেখা গেল বাম-তৃণমূলকে। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেই দিলেন, ইস্যু ঠিকঠাক হলে তৃণমূলের সঙ্গে যেতেও আপত্তি নেই। যদিও, রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই তাদের আন্দোলনে মুখ দেখিয়ে এল বাম-তৃণমূল।
রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে মঙ্গলবার সংসদে বামেদের ধরনা। ঘুরে এল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার, ললিতগেট-ব্যপম ইস্যুতে সংসদ চত্ত্বরে কংগ্রেসের ধরনা। পৌছে গেলেন বাম সাংসদরা। সেখানে হাজির তৃণমূলও। ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সময় সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির কুকথার প্রতিবাদে তৃণমূলের সঙ্গে ধরনায় যেতে চেয়েছিলেন মহম্মদ সেলিমরা। শেষ মুহূর্তে আটকেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নবান্নে ফিস ফ্রাই এপিসোড তখনও যথেষ্ট টাটকা। এদিন কিন্তু, কংগ্রেসের ধর্নামঞ্চে সৌগত রায় আর সিপিএম সাংসদ পি করুণাকরনকে একসঙ্গেই দেখা গেল।
বৃহস্পতিবার, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের ধর্নামঞ্চে প্রথমে যান সৌগত রায়েরা। তাঁরা চলে গেলে হাজির হন বামেরা। সেইসময় কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূল সাংসদদের ফের ডেকে নিলে বামেদের মুখোমুখি হয়ে যান তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে চারটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। গত পুরভোটেও তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ শক্তি ধরে রাখতে পেরেছে।তৃণমূলকে হারাতে কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে চাইছে আলিমুদ্দিনের একাংশ। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই সংসদে তাদের ধরনায় হাজির হয়েছে বামেরা। আর বামেদের থেকে কংগ্রেসকে দূরে রাখতে তাদের ধরনায় পৌছে গেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবারই সংসদের সেন্ট্রাল হলে একে অন্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া-মমতা। সংসদে কংগ্রেসের ধরনায় দলের সাংসদদের পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকমান্ডকে বার্তা দিতে চাইছেন। যদিও, প্রদেশ কংগ্রেসের একটা অংশ তৃণমূল সম্পর্কে নরম মনোভাব নিতে নারাজ। পলিটিক্সে চিরস্থায়ী শত্রু-মিত্র বলে কিছু হয় না। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে নতুন নতুন মোড় দেখা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।