2 August 2021, 16:45 PM
শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় আসবেন।
সিপিএমের সঙ্গে জোটের কোনও প্রশ্নই নেই। ৩৪ বছর যে অত্যাচার করেছে তা দেখেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র বিকল্প তৃণমূল। সিপিএমের নেতা, কর্মীরা লড়াই করতে চাইলে স্বাগত। অনেক সদস্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। কলকাতায় বৈঠক করে এসেছেন। আমাদের লক্ষ্য ঘর ভাঙানো নয়।
আমরা ঘর ভাঙানোর খেলায় নামলে এক মাসও টিকবে না বিপ্লব দেবের সরকার। সে পথে যাব না। অনেকে যোগাযোগ করেছেন, যোগাযোগ রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ডান-বাঁ দিক সবাই যোগাযোগ করছেন। আমরা ত্রিপুরার মানুষের স্বার্থে লড়াই করছি। ২০১৮ সালে এখানে বিজেপির কোনও সংগঠন ছিল না। মানুষ আজ উপলব্ধি করছেন, চোর সরাতে গিয়ে ডাকাত এনেছেন। মানুষের স্বার্থেই আমরা লড়ব।
2 August 2021, 16:45 PM
বিজেপি হারবে। ত্রিপুরা জিতবে। লক্ষ্য এবার ত্রিপুরা।
2 August 2021, 16:30 PM
২০১৮ সালের পর ক'বার এসেছেন বিজেপির নেতারা? ত্রিপুরার মা-বোনেদের অনুরোধ করব, কানে শুনে না, চোখে দেখে ভোট দিন। ডবল ইঞ্জিন হয়েও কেন হেলিকপ্টার উড়ছে না? আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল ইঞ্জিন নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে উড়ে কন্যাশ্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের পুরস্কার পেয়েছে। দিদির উন্নয়নের মডেল দেশের একমাত্র মডেল। সারা দেশ বলছে, দেশ কি নেত্রী ক্যাসি হো, মমতা ব্যানার্জি জ্যাসি হো।
2 August 2021, 16:30 PM
কেউ ভালো নেই ত্রিপুরায়। সবাই অত্যাচারিত। লাঞ্চিত। ত্রিপুরার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে। ২০১৮ সালে লেনিন, কার্ল মাক্সের মূর্তি ভেঙেছে। দেখান তো কটা মূর্তি ভেঙেছে? সিপিএমের কটা পার্টি অফিস ভেঙেছে? বিরোধীদের উপরে অত্যাচারের কথা বলে। ২০১৮ সালে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কটা আসবে জিতেছে বিজেপি? আজ থেকে বিজেপির বিদায়ঘণ্টায় বেজে গেছে। সমাজবিরোধীদের খেলা শেষ। মা-মাটি মানুষের খেলা শুরু। বাম বা কংগ্রেস ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাঁরা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিলেন। দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান আপনারা তৃণমূলে এসে হাত শক্তিশালী করুন। এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। এই লক্ষ্যই আজ স্থির করে দিতে চাই। যাঁদের মনে সংশয় রয়েছে, আপনারা এখনই সিদ্ধান্ত নেবেন না। সিপিএম, কংগ্রেস তো ছেড়ে দিয়েছে। বিরোধী নেই বলে অত্যাচার করছে। আজ থেকে সেই অত্যাচারে ইতি টানা শুরু হল। ত্রিপুরায় দুয়ারে দুয়ারে বাইক বাহিনী নয়, দুয়ারে সরকার হবে। দুয়ারে রেশন শুরু হতে চলেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়ে গিয়েছে। স্টুন্ডেন্ট ক্রেডিট কার্ড শুরু হয়েছে। এখানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বেড়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি এখানকার সরকার। কেন চিকিৎসার জন্য় কলকাতায় যেতে হয়? ডবল ইঞ্জিন সরকার কী করছে? কটা যুব-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে? কটা কলকারখানা তৈরি করেছে ত্রিপুরার মাটিতে? কী কাজ করেছে? আমি প্রশ্ন করতে চাই। সরকারকে জবাব দিতে হবে।
2 August 2021, 16:30 PM
যারা বিজেপিকে পরাজিত করতে চান বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই করুন। দিল্লির যতবার আসবে ৫ গুণ বেশি আসব। মাসে দুবার আসলে দশবার আসব। আবার দু'সপ্তাহ পর আসব। পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন আমি নেত্রীর সৈনিক হিসেবে কাজ করছি। আজ মানুষের যে ভালোবাসা উপলব্ধি করেছি, রাস্তায় বেরিয়ে এসে মানুষ আশীর্বাদ করছে। এজন্য় বিজেপি সরকার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এত ব্যতিব্যস্ত, উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেন? চরম হতাশার নমুনা। বাঁশ, লাঠি জোগাড় করে রাখুন। আগামী ১৫ দিন পর আবার আসব। ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখান।
2 August 2021, 16:30 PM
সারা দেশে বিজেপিকে কেউ ল্যাজেগোবরে করে হারাতে পারে সেই দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে গেলাম, পায়ের তলার ভূমি বাঁচিয়ে নিন। ত্রিপুরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে।
2 August 2021, 16:30 PM
ত্রিপুরায় ক'টা কর্মসংস্থান হয়েছে? বেকারত্ব কেন বাড়ছে? নারী সুরক্ষায় কেন পিছিয়ে> ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেবেন না? ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার বলেছিল। আসলে সবটা ডবল ভাঁওতা।
2 August 2021, 16:30 PM
ত্রিপুরায় শিক্ষার হার সবচেয়ে বেশি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও বলছে মহাভারতের সময় ইন্টারনেট ছিল। এই তো ব্যাপার। তাহলে রাজ্যের অবস্থা কী হবে?
2 August 2021, 16:15 PM
আমি এখানে সরকার ভাঙতে আসেনি। আমরা পা রেখে ত্রিপুরার হৃত গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে। ত্রিপুরায় আগামী দিনে দুয়ারে গুন্ডা নয় দুয়ারে সরকার পৌঁছবে। কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করব। ন্যূনতম আয়ের প্রকল্প আনতে পারি তাই পা রেখেছি। ত্রিপুরায় তো তৃণমূলের অস্তিত্বই নেই তাহলে বিচলিত হচ্ছেন কেন? ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকে, তিনি তো রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাংসদের উপরে হামলা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে? বহিরাগত নেতারা বাংলায় গিয়ে গলা ফাটায় যে গণতন্ত্র নেই। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর একটা ঘটনা দেখাতে পারবেন, সিপিএমের কোনও নেতার উপরে শাবল, বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা হয়েছে। আপনারা শুনে রাখুন দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, ৩৩৪৪টা বুথে তৃণমূলের সংগঠন হবে। ১৫ দিনের মধ্যে আবার আসব। এসে রাজ্যে সংগঠন ঘোষণা করব। বিপ্লববাবুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, ক্ষমতা থাকলে আটকান। আসব, লড়াই করব। এবার ত্রিপুরা পারলে সামলে নেবেন। বিজেপির ধমকানি, চমকানি অনেক দিন ধরে দেখছি। এসব করে লাভ নেই।
2 August 2021, 16:15 PM
ত্রিপুরার মানুষ কী চায়, কী চায় না এরা বুঝতে চায় না। উত্তর ভারতের যে নেতারা বলে দেবে সেটাই করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সবে পা রেখেছে। আমি এখানে আসার আগে আইপ্যাকের ২৩ কর্মীকে নজরবন্দি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পা রাখেনি তাতেই এত হতাশা, এত জ্বালা। আইপ্যাক কর্মীরা সমীক্ষা করছে। তাদের গৃহবন্দি করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলের ম্যানেজারকে ধমকাচ্ছে। আপনার চমকানি, ধমকানি চলবে না। যত চমকাবেন ত্রিপুরার মানুষ তত গর্জাবে। যাঁরা সিপিএমকে হারিয়ে এক বুক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, তাঁরা বুঝতে পারছে খাল কেটে কুমির এনেছে।
2 August 2021, 16:15 PM
। লড়াই আজ থেকে শুরু হল। ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল পা রেখেছে। আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। আগামী দেড়বছরের মধ্যে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করে রাজ্য ছাড়বে। উন্নয়নের কর্মসূচি ত্রিপুরার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেবে মা-মাটি-মানুষের সরকার। এখানে বিজেপি প্রকল্প দুয়ারে গুন্ডা। জল্লাদদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছে ত্রিপুরাকে। সর্বশক্তি দিয়ে আটকাতে হবে।
2 August 2021, 16:15 PM
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই প্রথম অন্য রাজ্যে পা রাখা। সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছি ক'দিন আগে। যারা বড় বড় ভাষণ দিয়ে গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলে তারা আজ কোথায়! সাংসদের উপরে হামলা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? মায়েদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তারা বলছে আমরা কিছু করতে পারব না। তাদের দোষারোপ করব না। স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
2 August 2021, 16:00 PM
অতিথি দেব ভবঃ বলে যে ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি, তা আপনারা দেখেছেন। মা ত্রিপুরেশ্বরীর পুজো করে কর্মসূচি শুরু করতে চেয়েছিলাম। সারা ভারতে প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে না পৌঁছতে পারি, সবরকম চেষ্টা করেছে। এরাই নাকি হিন্দুত্বের ধারক ও বাহক। গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। কলকাতা থেকে আসা ৩ নিরাপত্তা আধিকারিক গুরুতর আহত। প্রত্যেক ১০০ মিটার ছাড়া ছাড়া রাস্তা অবরোধ। মায়ের দর্শন তো আমি করেছি। এভাবে আটকানো যাবে না। ৩৪ বছরে সিপিএম পারেনি। আমাদের যত তাঁতানো হয় তত শক্তিশালী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল লোহার মতো। তমশাচ্ছন্ন ত্রিপুরায় উন্নয়নের সরকার গড়ব। ত্রিপুরাকে স্বাধীন করব।
ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।