ভারতে বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্ত, দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাস, জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ হার অনেক বেশি।
![ভারতে বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্ত, দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাস, জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারতে বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্ত, দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাস, জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/12/05/356700-omicron1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে ফের বাড়ল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। গুজরাটের পর মহারাষ্ট্রেও একজনের দেহে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রন ভাইরাস। সেই প্রসঙ্গেই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে শনিবার বলেছেন যে করোনভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ হার অনেক বেশি। তবে এর লক্ষণ বা উপসর্গগুলি মৃদু। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কাউকেই অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর হারও অস্বাভাবিক নয়।
যদিও ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক উড়ান, যাত্রীদের ওপর কঠোত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কেন্দ্র। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। হটস্পট এলাকাগুলি চিহ্নিত করে টিকাকরণ বৃদ্ধির কাজও চলছে জোর কদমে। দেশে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ে কর্নাটকে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুই জনের দেহে করোনার এই নয়া প্রজাতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে তারা করোনা পজিটিভ হতেই সেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য পাঠানো হয়েছিল। এরপরই ধরা পড়ে ওমিক্রনের উপস্থিতি।
আরও পড়ুন, Nagaland Killing: অনুপ্রবেশকারী! ‘ভুল করে’ নিরাপত্তা বাহিনীর এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত ১১ গ্রামবাসী
এদিকে দেশে দৈনিক আক্রান্ত এখনও ৯ হাজারের ওপরে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে ওড়িশা, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলির কয়েকটি জেলায় বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন Delta Varient-এর থেকেও ভয়ঙ্কর Omicron variant। আরও বেশি সংক্রামক এবং আরও দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে করোনার এই নয়া প্রজাতি। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক Dr. Angelique Coetzee-এর দাবি, Omicron-এর উপসর্গ খুবই মৃদু।সংক্রামিত রোগীর চরম ক্লান্তি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে ওমিক্রনের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রনের লক্ষণ হালকা এবং কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।