Maharashtra Political Crisis: আড়াই বছর পরে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ? কবে নেবেন শপথ!
রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারি উদ্ধব সরকারকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য ফ্লোর টেস্টের নির্দেশ দেওয়ার পরেই ভেঙে যায় মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার। ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার সময় বলেন মানুষের আশির্বাদ এবং সহযোগিতায় তিনি এই পদে ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং এবং কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পর রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী হলে তৃতীয়বার তিনি এই পদে বসবেন।
উদ্ধব ঠাকরে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় পদত্যাগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য বিধানসভায় তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ফ্লোর টেস্টের নির্দেশ দেওয়ার কিছুক্ষন করেই তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি জানান বিধান পরিষদের সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল এবং দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে একটি দলীয় বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, এনসিপি নেতারা দলীয় বৈঠকের জন্য সিলভার ওকে পৌঁছে যান। উদ্ধব ঠাকরে বিধান পরিষদের সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।
রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারি উদ্ধব সরকারকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানের জন্য ফ্লোর টেস্টের নির্দেশ দেওয়ার পরেই ভেঙে যায় মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার।
ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার সময় বলেন মানুষের আশির্বাদ এবং সহযোগিতায় তিনি এই পদে ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং এবং কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: Maharashtra Political Crisis: 'আস্থাভোটে যোগ দেব না', ফেসবুক লাইভে নাটকীয় ইস্তফা উদ্ধবের
তৃতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে, বিজেপি ১২২টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হয়ে ওঠে। তখন তাকে এনসিপি বাইরে থেকে সমর্থন দেয়। পরে বিজেপি শিবসেনারও সমর্থন পায়।
২০১৯ সালের নির্বাচনে, বিজেপি ১০৫ টি আসন জিতেছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে বিজেপি এবং শিবসেনার মধ্যে বিরোধ ছিল। এরফলে বিজেপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে, শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে এবং উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হন।