সোনিয়ার আমন্ত্রণে দিল্লি সফর মমতার, কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ জোটে তৃণমূল?

সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। পাওয়া যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিতও। বিজেপিকে ঠেকাতে ধর্মনিরপেক্ষ এক বড় জোটের সম্ভাবনাও উঠে আসছে।

Updated By: Nov 13, 2014, 04:44 PM IST
সোনিয়ার আমন্ত্রণে দিল্লি সফর মমতার, কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ জোটে তৃণমূল?
হাসিমুখে দুজনে (ফাইল চিত্র)

ওয়েব ডেস্ক: সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। পাওয়া যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিতও। বিজেপিকে ঠেকাতে ধর্মনিরপেক্ষ এক বড় জোটের সম্ভাবনাও উঠে আসছে।

 উপলক্ষ্য জওহরলাল নেহেরুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। সোনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াকে রাজনৈতিকভাবে তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।  

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সম দূরত্ব বজায় রাখা কী রাজনৈতিকভাবে ঠিক হচ্ছে? এ নিয়ে যখন তৃণমূল শিবিরে আলোচনা শুরু হয়েছে, তখনই সোনিয়া গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়াটা একটা নতুন বার্তা দিচ্ছে। বিজেপির মতো বৃহত্তর দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেসের মত সর্বভারতীয় দলকে পাশে নেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের ক্ষেত্রেও বিজেপিকে বিরোধী প্রচারকেও ঐক্যবদ্ধ করতে চান তৃণমূলনেত্রী। তার অন্যতম প্রধান ধাপ হিসেবেই কি এই সফরকে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছে বিজেপি বাদে সব রাজনৈতিক দল। দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলিকে একত্রিত করে জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল শিবিরের মতে, এতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো হবে। সোনিয়া গান্ধীর এই মঞ্চই কি লালুপ্রসাদ, মুলায়ম বা মায়াবতী এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার প্রথম ধাপ? সেই জোটে কি ভবিষ্যতেও দেখা যাবে তৃণমূলকেও?

চব্বিশ ঘণ্টাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নীতীশ-লালুর জোটবদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রয়োজনে বিরোধী সিপিআইএমের সঙ্গেও হাত মেলানোর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সিপিআইএম নেতৃত্ব সহ অন্যান্য বাম দল। একই মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএম নেতৃত্বের উপস্থিতি জল্পনাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

.