এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সুদ-সংঘাতে মুখ্যমন্ত্রী
সংঘাতের বার্তা নিয়েই দিল্লি পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যেয় দিল্লি পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যের সুদ মকুবের দাবি ন্যায্য। এব্যাপারে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না কেন্দ্র। দিল্লি যাওয়ার আগে মহাকরণে দাঁড়িয়ে এভাবেই সুদ মকুবের প্রশ্নে আরও একবার সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংঘাতের বার্তা নিয়েই দিল্লি পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যেয় দিল্লি পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ।
রাজ্যের সুদ মকুবের দাবি ন্যায্য। এব্যাপারে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না কেন্দ্র। দিল্লি যাওয়ার আগে মহাকরণে দাঁড়িয়ে এভাবেই সুদ মকুবের প্রশ্নে আরও একবার সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাজ্যের সুদ মকুব ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে নামার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজে, এনসিটিসি ইস্যু এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ-দিল্লিতে ঝটিকা সফরে এই তিনটি বিষয় নিয়েই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা হওয়ার কথা। রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজ এবং সুদ মকুবের দাবি যে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে, তা বুধবারই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে মহাকরণে তিনি বলেছেন, "পঞ্জাবকে এর আগে সুদ মকুব করেছে কেন্দ্র। কাজেই রাজ্য সরকারের এই দাবি ন্যায্য।"
আগামী ৪ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই রাজ্যের জন্য সুদ মকুব ও আর্থিক প্যাকেজের বিষয়টি তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরও বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জন্য কংগ্রেসকে অনেকটাই নির্ভর করতে হবে সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। ইতিমধ্যেই তৃণমূল এ ব্যাপারে বল কংগ্রেসের কোর্টে ঠেলে জানিয়েছে, আগে কংগ্রেস তাদের মতামত জানাক, তারপর দল সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই দিক থেকে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য সাক্ষাত্ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
আবার এনসিটিসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ৫ জুনের বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ইউপিএ-র অন্যতম শরিক তৃণমূলের এনসিটিসি নিয়ে আপত্তির কারণে ধাক্কা খেতে হয়েছে কংগ্রেসকে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ১১টি রাজ্য এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। বুধবারই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুদানের উপর এক বিতর্কে যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তাঁদের আপত্তি রয়েছে এনসিটিসি নিয়ে। ফলে এ নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের যে এখনও পরিবর্তন হয়নি, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এবারের দিল্লি সফরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও এনসিটিসি ইস্যুতে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়িয়ে রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি আরও জোরালভাবেই তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী।