Manipur Violence: অশান্তির আঁচে জ্বলছে মণিপুর! শান্তি ফেরাতে মোদী-শাহকে বার্তা মমতার
মেইতে জাতিগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতিভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে মণিপুর হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে অশান্ত হয় মণিপুর (Manipur)। আদালতের এই রায় মানতে নারাজ ছিল রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানুষ। ফলে আদিবাসী ও অ-আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। বুধবার চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাংয়ে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম)’ পদযাত্রার ডাক দেয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেইতে জাতিগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতিভুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে মণিপুর হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে অশান্ত হয় মণিপুর (Manipur)। আদালতের এই রায় মানতে নারাজ ছিল রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানুষ। ফলে আদিবাসী ও অ-আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। বুধবার চূড়াচাঁদপুর জেলার তোরবাংয়ে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম)’ পদযাত্রার ডাক দেয়।
আরও পড়ুন, SCO Summit: বিলাওয়াল ভুট্টোর সামনেই সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
গতকাল পর্যন্ত ধারাবাহিক সংঘাত চলতে থাকে। এর জেরে পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং, থৌবাল, জিরিবাম, চূড়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, কাংপোকবি ও তেগনৌপাল জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। পরে সেনা নামানো হয়। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উদ্যোগ প্রত্যাশা করেছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
তিনি বলেন, 'আমি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও নির্বাচন নিজেদের জায়গায় থাকুক। আমাদের সুন্দর রাজ্য মণিপুরকে আগে রক্ষা করতে হবে আগে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মণিপুরের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখতে , সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করছি। আমি আমাদের মণিপুরের ভাই-বোনদেরও শান্ত থাকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। আজ যদি আমরা মনুষ্যত্বকেই এভাবে ধ্বংস করি, তাহলে আগামী দিনে নিজেদের আর মানুষ বলতে পারব না।'
অন্যদিকে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা থামাতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অনুমোদনক্রমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ জারি করে। এর আগে রাজ্যে সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। রাজধানী ইম্ফলে চলছে থমথমে অবস্থা। রাজ্য সরকারের নির্দেশনামায় বলা হয়, চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে কোনো উপায় না পাওয়া গেলে গুলি চালাতে পারবে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী।
আরও পড়ুন, Delhi: ৪৫-এর জায়গায় ১৫ ডিগ্রি! কোন ম্যাজিকে দিল্লিতে হঠাৎই শীত ও কুয়াশা?