ইতালীয় অপহরণ কাণ্ড : সরকার ও মধ্যস্থতাকারীদের বৈঠক
ওড়িশায় ইতালীয় নাগরিকদের অপহরণ নিয়ে চাপ বজায় রাখার কৌশল নিয়ে চলেছে মাওবাদীরা। পাল্টা সময় নিচ্ছে সরকারও। এই অবস্থায় অপহরণের ৫ দিন পর বৃহস্পতিবারই প্রথম সরকারপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করল মধ্যস্থতাকারীরা।
ওড়িশায় ইতালীয় নাগরিকদের অপহরণ নিয়ে চাপ বজায় রাখার কৌশল নিয়ে চলেছে মাওবাদীরা। পাল্টা সময় নিচ্ছে সরকারও। এই অবস্থায় অপহরণের ৫ দিন পর বৃহস্পতিবারই প্রথম সরকারপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করল মধ্যস্থতাকারীরা। ভুবনেশ্বরে বিকেল ৪টে নাগাদ শুরু হয় বৈঠক। মাওবাদীদের তরফে আলোচনা প্রক্রিয়ায় অংশ নেন বি ডি শর্মা এবং দণ্ডপানি মোহান্তি। সরকারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সরকারের তরফে বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্র, পঞ্চায়েত ও উপজাতি কল্যাণ দফতরের সচিবরা।
প্রথমে মাওবাদীরা ১৩ দফা দাবির কথা প্রথমে তুললেও এখন মূলত দুটি দাবিতেই তারা জোর দিচ্ছে। পুরনো মামলায় যে ৫ জনকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি এবং এনকাউন্টার সহ বিভিন্ন কারণে অভিযুক্ত পুলিস আধিকারিকদের শাস্তি, এই দুটি দাবিই তারা এখন তুলছে। যাদের ছাড়ার দাবি জানানো হয়েছে, তাদের মধ্যে মাওবাদীদের রাজ্য সম্পাদক সব্যসাচী পাণ্ডার স্ত্রী শুভশ্রী ওরফে মিলি পাণ্ডাও রয়েছেন। আলোচনা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে কোবাড গান্ধী এবং অমিত বাগচির মতো মাওবাদী নেতাদের ভুবনেশ্বরের জেলে আনার দাবিও তুলেছেন দণ্ডপানী মহান্তি। তবে মাওবাদীদের দাবি নিয়ে সরকারি তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। সম্ভবত চাপ বাড়ানোর কৌশলে মাওবাদীরা কতদূর এগোতে পারে তাই আঁচ করে পা ফেলতে চাইছে ওড়িশা সরকার।
এরই মধ্যে ওড়িশার মালকানগিরিতে এদিন কৃষ্ণচন্দ্র রথ নামে এক এএসআই-কে গুলি করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির মাওবাদীদের দিকেই। এই মৃত্যুর ঘটনা আলোচনায় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে সরকার এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।