উত্তর-পূর্বে মাওবাদী নেটওয়ার্ক, সতর্ক কেন্দ্র
মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগ রয়েছে মাওবাদীদের। ধৃত মাওবাদী নেতা অজয় চন্দ ওরফে ঝুলনকে জেরা করে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ধর্মতলা থেকে অজয় চন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিস। তদন্তের দায়িত্ব নেয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি।
মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগ রয়েছে মাওবাদীদের। ধৃত মাওবাদী নেতা অজয় চন্দ ওরফে ঝুলনকে জেরা করে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে ধর্মতলা থেকে অজয় চন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিস। তদন্তের দায়িত্ব নেয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। ইতিমধ্যে এই মামলায় চার্জশিটও জমা দিয়েছে এনআইএ। ধৃত নেতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে উঠে এসেছে, মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রেভলিউশনারি পিপ্ল`স ফ্রন্ট(আরপিএফ)-এর সশস্ত্র শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মি অফ মনিপুর-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যোগ রয়েছে মাওবাদীদের। উদ্ধার হওয়া যৌথ ঘোষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ২০০৮ থেকে একসঙ্গে কাজ করছে তারা।
১৯৭৮ সালে সাবভম মনিপুর রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে জঙ্গি নেতা এন বিশ্বেশ্বর সিং আরপিএফ সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। পূর্ব মনিপুর উপত্যকায় `সদর হিল` এলাকায় আরপিএফ এহবং তাঁর সশস্ত্র শাখার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। প্রিপাক, ইউএনএলএফ-মতো সমমনোভাবপন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সঙ্গে নিয়ে `মনিপুর পিপ্ল`স লিবারেশন ফ্রন্ট` নামে একটি সংযুক্ত মঞ্চও গঠন করেছে আরপিএফ। বছর কয়েক আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের(আইবি) একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতে সংগঠন বাড়াতে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলছে সিপিআই(মাওবাদী) নেতৃত্ব। এবার এনআইএ-র পেশ করা চার্জশিটেও একই কথা উঠে এল।