Vaishno Devi Temple Stampede: কী হয়েছিল বৈষ্ণোদেবীতে? বিবৃতি জারি করে জানাল মন্দির কর্তৃপক্ষ
ঘটনার পরেই বিবৃতি জারি করে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষবরণের রাতে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২ জন তীর্থযাত্রীর। আহত আরও অনেকে। ঘটনার পরেই বিবৃতি জারি করে নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দির বোর্ড (এসএমভিডিএসবি) শনিবার একটি বিবৃতি জারি বলেছে যে তীর্থযাত্রীদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে 'হাতাহাতি'র কারণেই পদদলিত হওয়ার ঘটনার সূত্রপাত।
বিষয়টির আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত চাইছে প্রশাসন। শনিবারই তাই তিন সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে, তা খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে ওই তদন্তকারী দলকে। অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে ৩৫ হাজার দর্শনার্থীকে সামলানোর ব্যবস্থা রয়েছে মন্দিরে। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার তীর্থযাত্রীর আগমন ঘটেছে এবং মন্দির বোর্ড তার মান্যতাও দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জম্মুর বিভাগীয় কমিশনার রাঘব ল্যাঙ্গার এবং জম্মুর অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক মুকেশ সিং। শনিবার (১ জানুয়ারী, ২০২২) সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করে মন্দির বোর্ড। বিবৃতিতে এও লেখা রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও বটে তিনি ৩টে নাগাদ পদদলিত হওয়ার বিষয়ে জানত্ পারেন এবং তারপর থেকে ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
আরও পড়ুন, TMC: দলের কার্যালয় স্থাপনের পর এবার হরিয়ানায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন তৃণমূলের
বছরের শুরুতে প্রার্থনা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন ভক্তরা। আচমকা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পায়ের চাপে আহত হন বহু মানুষ। বর্ষবরণের রাত ২.৪৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে বচসা, ধাক্কাধাক্কি থেকেই মর্মান্তিক এই ঘটনার সূত্রপাত। সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।