ভূতের ভয়ে রাম-রাম বলবো না? অমর্ত্যকে অর্থনীতিতেই থাকার পরামর্শ রাজ্যপাল তথাগত রায়ের
অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস বাহবা করলেও বিজেপি তুলোধনা করে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পালটা যুক্তি, জয় শ্রীরাম যাঁরা বলছেন, তাঁরাই বাংলাকে চেনেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। রবিবার অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি পরামর্শও দেন ৮৫ বছর বয়সী নোবেল জয়ীকে। বলেন, তাঁর বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ভাল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এসে পশ্চিবঙ্গের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেন বলেন, “বাঙালির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত মা দুর্গা। জয় শ্রীরাম নয়। জয় শ্রীরাম স্লোগান বাঙালির সঙ্গে মানানসই নয়।” তাঁর আরও বক্তব্য, ইদানিং পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীর উজ্জাপন সেভাবে প্রকট হচ্ছে, এমন প্রবণতা কখনও শুনিনি। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় গণপিটুনির হাতিয়ার হিসাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে।”
অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্যে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস বাহবা করলেও বিজেপি তুলোধনা করে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পালটা যুক্তি, জয় শ্রীরাম যাঁরা বলছেন, তাঁরাই বাংলাকে চেনেন। দিলীপের দাবি, উনি (অমর্ত্য সেন) বাংলাকে যেমন চিনতেন তা বদলে গিয়েছে। উনি বাংলাকে ভুল চিনতেন। এখন পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছে। উলটে দিলীপ বলেন, জয় শ্রীরাম বললে এখানে গণপিটুনি খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বাজেটে আস্থা হারাল বাজার! মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ পতন সেনসেক্সের
দিলীপের সুরেই মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে রামরাজাতলা, শ্রীরামপুর বা অন্য কোথাও থাকবে না? ভূতের ভয়ে রাম-রাম উচ্চারণ করা যাবে না? উনি (অমর্ত্য সেন) অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন, ওই বিষয় নিয়েই তাঁর থাকা উচিত।” উল্লেখ্য, ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি ছিলেন তথাগত রায়। এর পর ২০১৫ সালে ত্রিপুরায় রাজ্যপাল হন তিনি। অরুণাচল প্রদেশে কিছুদিন রাজ্যপাল ছিলেন।