আইনমন্ত্রীকে নোটিশ, সংখ্যালঘু সংরক্ষণে বাধ সাধল কমিশন
উত্তরপ্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ চালু করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বাধ সাধল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে কমিশনের তরফে একটি নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী বিধানসভা ভোটের আগে সংশ্লিষ্ট ৫ রাজ্যে মুসলিম সংরক্ষণ চালু করা যাবে না।
উত্তরপ্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ চালু করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বাধ সাধল নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অবিলম্বে ২৭ শতাংশ ওবিসি কোটার মধ্যে মুসলিম-সহ অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির জন্য সাড়ে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে কমিশনের তরফে একটি নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী বিধানসভা ভোটের আগে সংশ্লিষ্ট ৫ রাজ্যে মুসলিম সংরক্ষণ চালু করা যাবে না।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচারে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদকে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নোটিশও জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার মধ্যে জবাবদিহি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি ফারুকাবাদে নিজের স্ত্রী লুইস খুরশিদের হয়ে প্রচারে এসে সলমন বলেন, উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এলে মুসলিমদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করবে কংগ্রেস। বিজেপি এবং বিএসপি`র তরফে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রণয়নের এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলা হয়।
নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পাওয়ার পরও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন সলমন খুরশিদ। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারেই মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ ধোপে টিকবে না।