টার্গেট ফেল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের!

২০১৪ সালে এই গুজরাটই দু'হাত উজাড় করে ভোট দিয়েছিল মোদীকে। ২৬ লোকসভা কেন্দ্রের ২৬টি আসনেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। শতাংশ অনুযায়ী লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবির ভোট পেয়েছিল ৫৯.১%। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩২.৯ শতাংশ। লোকসভার নিরিখে ৩ বছরের মধ্যেই বিজেপির ভোট কমল প্রায় ১০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০১৭ গুজরাট নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।   

Updated By: Dec 18, 2017, 12:46 PM IST
টার্গেট ফেল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের!

নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটে জিতল বিজেপিই। হ্যাঁ, এটাই এখন সবথেকে বড় সত্যি। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলাই মোটের উপর মিলে গেল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত গুজরাটের গণরায়ে একশোর বেশি আসনে জয় হাসিল করে সরকারে ফিরতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টিই। দেশের তাবড় গণমাধ্যমগুলির রায়ের আভাস আগেই ছিল। হলও তাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ যা চেয়েছিলেন তা হল না। '১৫০ প্লাস' টার্গেট নিয়েছিল মোদী-শাহ জুটি। অর্থাত্, ১৫০-এর বেশি আসনে জিততে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা হল না। নমোর রাজ্যে বিজয় রূপানি জিতলেন বটে, তবে কাঁটা হয়ে থাকল কংগ্রেসের উত্থান!

আরও পড়ুন- মনমোহনের মানে আঘাত! হারলেও হুঙ্কার কংগ্রেসের

'ডুবন্ত জাহাজের সৈনিক রাহুল গান্ধী', সনিয়া পুত্র কংগ্রেস সভাপতির পদে বসার পর এমনই কটাক্ষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি'র কেউ কেউ বলেছেন, পরিবারতন্ত্র থেকে বেরোতে পারল না কংগ্রেস। এমনকি 'পাপ্পুর রাজনৈতিক ক্ষমতা' নিয়েও সন্দেহ ছিল গেরুয়া শিবিরের অনেকের মনেই। তবে এদিনের ফলাফলের পর এখন অনেকেই চুপি চুপি বলছেন, গুজরাট পরীক্ষায় লেটার মার্কস না পেলেও ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। কেন একথা বলা হচ্ছে? একবার দেখে নেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান- 

২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল: 

ভারতীয় জনতা পার্টি- ১১৫
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস- ৬১
গুজরাট পরিবর্তন পার্টি- ২
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি- ২
জনতা দল (ইউনাইটেড)- ১
নির্দল- ১ 

২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ট্রেন্ড (শেষ পাওয়া ফল অনুযায়ী): 

ভারতীয় জনতা পার্টি- ১১০ 
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস- ৬৭
অন্যান্য-৫ 

গুজরাট নির্বাচন ঘোষণার ৬ মাস আগে পর্যন্তও দেশবাসী এবিষয়ে নিঃসন্দেহে ছিল, গুজরাটে কোনও লাড়াই হচ্ছে না! সেইমত মোদী-অমিত শাহও ১৫০ প্লাসের টার্গেট নিয়ে মহারণে নামেন। গুজরাট ভোটে সব হিসেব বদলে দেন রাজ্যের তিন যুব মুখ। হার্দিক, অল্পেশ, জিগ্নেশ। 

- হার্দিকের পতিদার আন্দোলন 
- জিগনেশ মেবানির অনগ্রসরদের নিয়ে এককাট্টা মোদী বিরোধিতা 
- অল্পেশ ঠাকোরের ঠাকোর আবেগকে জাগিয়ে বিজেপি বিরোধী মনোভাব তৈরি করা

আরও পড়ুন- গেরুয়া গর্জনের মাঝেই হিমাচলে পিছিয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রেমকুমার

২০১২ সালের তুলনায় সিট বাড়ল কংগ্রেসের। জিতলেও বিজেপির আসন কমল গুজরাটে। স্বপ্ন সফল হলেও, লক্ষ্য পূরণ হল না মোদী-অমিত শাহেরও। ১৫০ তো দূর, ২০১২ সালের আসন সংখ্যাও ধরে রাখতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এই গুজরাটই দু'হাত উজাড় করে ভোট দিয়েছিল মোদীকে। ২৬ লোকসভা কেন্দ্রের ২৬টি আসনেই জয় পেয়েছিল বিজেপি। শতাংশ অনুযায়ী লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবির ভোট পেয়েছিল ৫৯.১%। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছিল ৩২.৯ শতাংশ। লোকসভার নিরিখে ৩ বছরের মধ্যেই বিজেপির ভোট কমল প্রায় ১০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০১৭ গুজরাট নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।   

.