সঞ্জয়ের ইস্তফায় সন্তুষ্ট মোদী আসতে পারেন বিজেপি`র অধিবেশনে
মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতি! কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বিরুদ্ধে জনমানসে তৈরি হওয়া অসন্তোষের এই জোড়া ফলাকে কাজে লাগিয়ে এক দশক পর দিল্লির মসনদে প্রত্যাবর্তন করতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু দলের ভিতরে তৈরি হওয়া অসন্তোষের আবহ? আপাতত টিম গডকড়ির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই।
মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতি! কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বিরুদ্ধে জনমানসে তৈরি হওয়া অসন্তোষের এই জোড়া ফলাকে কাজে লাগিয়ে এক দশক পর দিল্লির মসনদে প্রত্যাবর্তন করতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু দলের ভিতরে তৈরি হওয়া অসন্তোষের আবহ? আপাতত টিম গডকড়ির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই। বসুন্ধরা রাজে থেকে বোকানাকেরে সিদ্ধালিঙ্গাপ্পা ইয়েদুরাপ্পা, অসন্তুষ্ট নেতাদের তালিকা দীর্ঘতর হচ্ছে ক্রমশই। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে মুম্বইতে শুরু হওয়া বিজেপি`র জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশনে দলীয় অন্তর্বিরোধ ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টিই মুখ্য হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মুম্বই অধিবেশনের আগে অবশ্য ১১ অশোক রোডের নীতিনির্ধারকদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন দলের জাতীয় কর্মসমিতি এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য সঞ্জয় যোশি। সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই দলীয় সভাপতি নীতিন গডকড়ির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের `সেক্স সিডি` কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতাকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রতিবাদে গত ডিসেম্বর মাসে দিল্লিতে বিজেপি`র জাতীয় কর্মসমিতির অধিবেশনে যোগ দেননি নরেন্দ্র মোদি। নীতিন গডকড়ি সঞ্জয়ের হাতে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়ায় এক বারও সেখানে প্রচারে যাননি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। এমতাবস্থায় সঞ্জয় যোশির ইস্তফা মুম্বই অধিবেশনে নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদীর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও মোদী শিবিরের তরফে এখনও এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়নি। আজ সকালে রাজস্থানের উদয়পুরে এসে মহারানা প্রতাপের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন `ছোটে সর্দার`। সেখান থেকে মুম্বই যেতে পারেন তিনি। অথবা শুক্রবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে আসতে পারেন তিনি। চলতি বছরের শেষেই গুজরাটে বিধানসভা ভোট। এই নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করার পরই সম্ভবত নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার রাজনৈতিক তত্পরতা শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদী। তা ছাড়া গুজরাট বিজেপি`তে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল যাতে হাইকম্যান্ডের থেকে কোনওরকম গুরুত্ব আদায় করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করাও মোদীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিগত ৩ বছর ধরে বিজেপি`র জাতীয় কর্মসমিতির কোনও অধিবেশনেই যোগ দেননি বিক্ষুব্ধ কেশুভাই। কিন্তু সঞ্জয় যোশিকে ঘিরে গডকড়ি-মোদী টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসার পরই মুম্বই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।