পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন নিয়ে উত্তাল লোকসভা, মুখ্যমন্ত্রী উদাসীন সংসদে অভিযোগ লকেটের
এ দিন পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন নিয়ে বুদ্ধিজীবীদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করান হুগলির সাংসদ। বুদ্ধিজীবীরাও অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি। এভাবে চলতে থাকলে অনেক শিক্ষকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন লকেট
নিজস্ব প্রতিবেদন: পার্শ্ব শিক্ষিকার মৃত্যু ঘটনায় উত্তাল হল সংসদও। পশ্চিম মেদিনীপুরের পার্শ্ব শিক্ষিকা রেবতী রাউলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সোমবার। এই ঘটনায় চাপান-উতর চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। শুক্রবার, লোকসভাতেও উত্তাল হল।
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পনেরো দিনের বেশি হয়ে গেল পার্শ্ব শিক্ষকরা অনশন করছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কেউ সেখানে দেখতে যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। ৫-৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। বাংলায় শিক্ষকদের শোচনীয় অবস্থা বলে অভিযোগ করেন তিনি। লকেট বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মেলা-খেলার জন্য টাকা দিচ্ছেন, কিন্তু শিক্ষকদের দিকে তাকাচ্ছেন না। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে অভিযোগ করছেন, টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
এ দিন পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন নিয়ে বুদ্ধিজীবীদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করান হুগলির সাংসদ। বুদ্ধিজীবীরাও অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি। এভাবে চলতে থাকলে অনেক শিক্ষকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন লকেট। উল্লেখ্য, বিকাশভবনের উল্টো দিকে সমকাজে সমবেতন-সহ ৪ দফা দাবিতে অনশন আন্দোলন করছেন পার্শ্বশিক্ষকরা। সেই অনশনে সামিল হয়েছিলেন রেবতী রাউত নামে এক শিক্ষিকা। অসুস্থতার জেরে ১৮ নভেম্বর বাড়ি ফিরে যান। ওই দিন রাতেই মৃত্যু হয় রেবতীর।
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ ফেসবুকে দাবি করেছে,'জনস্রোতে ভাসছে তিলোত্তমা। এ আন্দোলন তার নিজস্ব গতিপথ পেয়ে গেছে। যে আবেগ তৈরি হয়েছে তা রোখার সাধ্য নেই প্রশাসনের, সরকারকে নমনীয় হতেই হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের খবর এ আন্দোলন করতে এসে প্রথম শহিদ হলেন একজন।”