মধ্যপ্রদেশে রেল দুর্ঘটনায় মৃত ২৪, উদ্ধার ৩০০ যাত্রী
মধ্যপ্রদেশে গভীর রাতে জোড়া রেল দুর্ঘটনা। মৃত ২৪। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহত অসংখ্য। রাজধানী ভোপাল থেকে একশো ষাট কিলোমিটার দূরে, মাচক নদী পেরনোর আগে লাইনচ্যুত হয় মুম্বই থেকে বারাণসীগামী 11071 আপ কামায়নী এক্সপ্রেসের ছটি কামরা। গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মান্ডলা জেলা সদর হারদায় ভিরঙ্গী এবং খিরাকিয়া স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কিছুক্ষণ পরে একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয় জব্বলপুর থেকে মুম্বইগামী 13201 আপ জনতা এক্সপ্রেস। চারটি কামরা ও একটি ইঞ্জিন মাচক নদী সংলগ্ন ক্ষেতে পড়ে যায়।
ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে গভীর রাতে জোড়া রেল দুর্ঘটনা। মৃত ২৪। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আহত অসংখ্য। রাজধানী ভোপাল থেকে একশো ষাট কিলোমিটার দূরে, মাচক নদী পেরনোর আগে লাইনচ্যুত হয় মুম্বই থেকে বারাণসীগামী 11071 আপ কামায়নী এক্সপ্রেসের ছটি কামরা। গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মান্ডলা জেলা সদর হারদায় ভিরঙ্গী এবং খিরাকিয়া স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কিছুক্ষণ পরে একই জায়গায় লাইনচ্যুত হয় জব্বলপুর থেকে মুম্বইগামী 13201 আপ জনতা এক্সপ্রেস। চারটি কামরা ও একটি ইঞ্জিন মাচক নদী সংলগ্ন ক্ষেতে পড়ে যায়।
বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে মাচক নদী। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদী। তার ওপর হরপা বানেই বিপত্তি। হঠাত্ই ব্রিজের মুখে কালভার্টের ওপরে জল উঠে ডুবে যায় রেললাইন। জলমগ্ন রেললাইনে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ক্ষেতে পড়ে যায় পরপর দুটি ট্রেন। তার জেরেই এই জোড়া ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রাতেই শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। এখনও পর্যন্ত ৩০০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর জখম। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হড়পা বানে জলমগ্ন ক্ষেতে ডুবে থাকা কামরায় আরও দেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা।