স্ত্রীকে খুনের পর তিন টুকরো করে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখল স্বামী
খুনের নৃশংসতার আরও এক নজির তৈরি করলেন মুম্বইয়ের গিরীশ কোটে। নিজের স্ত্রীকে খুন করার পর তিন টুকরো করে ফেলে ২৭ বছর বয়সের কোটে। গিরীশ কোটে নামের অভিযুক্ত স্বামী তাঁর স্ত্রীকে প্রথম ছুরি মেরে খুন করেন। এরপর নিজেকে বাঁচাতে স্ত্রী মধুবন্তীর দেহকে তিন টুকরো করে কেটে ফেলে গিরীশ। স্ত্রী-এর মৃতদেহের দুটো টুকরো গিরীশ রাখে ফ্রিজ, বাকি টুকরোটা রাখে বেডরুমে।
খুনের নৃশংসতার আরও এক নজির তৈরি করলেন মুম্বইয়ের গিরীশ কোটে। নিজের স্ত্রীকে খুন করার পর তিন টুকরো করে ফেলে ২৭ বছর বয়সের কোটে। গিরীশ কোটে নামের অভিযুক্ত স্বামী তাঁর স্ত্রীকে প্রথম ছুরি মেরে খুন করেন। এরপর নিজেকে বাঁচাতে স্ত্রী মধুবন্তীর দেহকে তিন টুকরো করে কেটে ফেলে গিরীশ। স্ত্রী-এর মৃতদেহের দুটো টুকরো গিরীশ রাখে ফ্রিজ, বাকি টুকরোটা রাখে বেডরুমে।
মুম্বইয়ের পাশ্ববর্তী অঞ্চল ভায়ানদার (ইস্ট) -এর নক্ষত্র টাওয়ার ১৪ তলায় নিজের ঘরে এই অপকীর্তি করে গিরীশ। তিন টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় নিজের স্ত্রীর দেহাংশ রেখে দেওয়ার পর সেটা বাইরে ফেলে দিত চান গিরীশ। কিন্তু একার পক্ষে এই কাজ সম্ভব হবে না বুঝে, যোগাযোগ করেন পরিচিত এক অটো ড্রাইভারের সঙ্গে। নিজের নৃশংসতার সব অপকীর্তির কথাই সে ফাঁস করে বলে, অটোয় চেপে সে কোনও ফাঁকা জায়গায় তাঁর স্ত্রী দেহ ফেলে দেবে।
অটো ড্রাইভার এরপর ফোন করে পুলিসকে খবর দেয়। ধরা পড়ে যায় গিরীশ। ভয় পেয়েই তিনি ওই অটোরিক্সা চালকের সাহায্য চেয়েছিলেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেন অভিযুক্ত ওই যুবক।
জানা গিয়েছে ফরাসি পাসপোর্ট থাকা মধুবন্তীর সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে খুব ঝামেলা বাঁধত গিরীশের। গিরীশ কাজ করেন এক শোরুমে। গিরীশের থেকে তিন বছরের বড় মধুবন্তীর মা ফরাসি। দুজনের প্রেমের সূত্রেই বিয়ে হয়। তাঁদের দু বছরের ছোট ছেলে থাকে মধুবন্তীর মায়ের কাছেই।
৩০ বছরের স্ত্রীকে কেন গিরীশ এভাবে নৃশংসভাবে খুন করলেন, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিস। কারণ, বারেবারেই বয়ান বদল করছেন অভিযুক্ত। পুলিস অবশ্য জানতে পেরেছে, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই আর্থিক টানাটানি নিয়ে ঝগড়া হত।