কালো টাকা সাদা হচ্ছে? পানশালায় উড়ছে 'সান্তাক্লজ নোট'!
পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল। কিন্তু তাতে কী? পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটেই দিব্যি রমরমিয়ে চলছে মহারাষ্ট্রের পানশালাগুলো। এমনকী ডান্স বারগুলো যাতে 'সুষ্ঠুভাবে' চলতে পারে, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে 'নতুন নোট'ও। যেগুলি চলছে শুধুমাত্র ওই ডান্স বারগুলোতেই। কালো টাকা সাদাও হয়ে যাচ্ছে, আবার বিনা বাধায় চলছে উল্লাস। কীরকম? গোটা বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং।

ওয়েব ডেস্ক : পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল। কিন্তু তাতে কী? পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটেই দিব্যি রমরমিয়ে চলছে মহারাষ্ট্রের পানশালাগুলো। এমনকী ডান্স বারগুলো যাতে 'সুষ্ঠুভাবে' চলতে পারে, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে 'নতুন নোট'ও। যেগুলি চলছে শুধুমাত্র ওই ডান্স বারগুলোতেই। কালো টাকা সাদাও হয়ে যাচ্ছে, আবার বিনা বাধায় চলছে উল্লাস। কীরকম? গোটা বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং।
ইন্ডিয়া টুডে-র স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছে সেই ছবি। পানাশালাগুলো নিজেদের জন্য চালু করেছে একধরনের নকল নোট। যাতে সই রয়েছে 'চিল্ড্রেন্স ব্যাঙ্কে'র গভর্নর 'সান্তাক্লজ'-এর। একদম আসল ২০ টাকার নোটের মত দেখতে সেই নোট। আসল ২০ টাকার নোটে যেমন RBI গভর্নরের সই সহ লেখা থাকে 'আই প্রমিস টু পে দ্য বেয়ারার দ্য সাম অফ টুয়েন্টি রুপিজ'। 'সান্তাক্লজ'-এর সই করার নকল নোটে লেখা 'আই প্রমিস টু প্লে উইথ দ্য ক্যুপন টুয়েন্টি অর টুয়েন্টি রুপি'। নকল নোটে রয়েছে গান্ধীর মুখের ছবিও। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নোট বাতিল সিদ্ধান্তের ঘোষণার একসপ্তাহের মধ্যেই বাজারে চলে আসে এই নকল নোট। আর এই নকল নোট দিয়েই দেদার ব্যবসা করছে ডান্স বারগুলো। ব্যবসায়ী থেকে গ্যাংস্টার, রাজনীতিবিদ সবারই কালো টাকায় জমছে আসর। কীভাবে? পড়তে ভুলবেন না, নোট বাতিলের জেরে ফিরে এল 'দেনাপাওনা'র নিরুপমার স্মৃতি
পানশালার মদির 'হাওয়ায় উড়ছে' নকল নোট। এই নকল নোট 'কাস্টমার'দের হাতে দিচ্ছে বার কর্তৃপক্ষই। যে কাস্টমার যত পরিমাণ নকল নোট নিচ্ছে, বার কর্তৃপক্ষও তাদের কাছ থেকে ঠিক সমপরিমাণ পুরনো নোট নিয়ে নিচ্ছে। ধরা যাক, কোনও কাস্টমার পুরনো নোটে ক্যাশ ২০০০ টাকা দিচ্ছে। তাহলে তাকে নকল টাকায় ১৮০০ দেওয়া হচ্ছে। সেই টাকাই ওড়ানো হচ্ছে নাচের সময়। এবার কাস্টমারের দেওয়া টাকার অর্ধেক নিয়ে নিচ্ছে বার কর্তৃপক্ষ। আর বাকি টাকা নিচ্ছে ডান্সাররা। তারা গিয়ে সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা করে দিচ্ছে। গোটা লেনদেনটাই হচ্ছে বিনা রসিদে। ফলে থাকছে না কোনও প্রমাণ। পুলিসের চোখের সামনেই গোটা ঘটনাটা ঘটলেও, পুলিস কিন্তু এব্যাপারে একদম চুপ। জানেন কি, 'মাথা মুড়িয়ে' মোদীকে 'হুমকি' দিলেন এই ব্যক্তি!