মোদীর 'মন কি বাত'-এ অলিম্পিক থেকে কাশ্মীর, আবেগ থেকে আক্রমণ
শুরুটা করেছিলেন অলিম্পিকে সফলদের শুভেচ্ছা জানিয়ে। সঙ্গে ছিল কী করবেন আর কী করবেন না। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে বক্তব্যের ধারাটা পাল্টে গেল। সাধারণ বক্তব্য থেকে তা পরিণত হল এক প্রকার হুশিয়ারিতে। তবে, সেই হুশিয়ারি কোনও সাধারণ মানুষকে নয়...বরং আস্ত একটি সরকারকে। পাকিস্তান সরকারকে।
ওয়েব ডেস্ক : শুরুটা করেছিলেন অলিম্পিকে সফলদের শুভেচ্ছা জানিয়ে। সঙ্গে ছিল কী করবেন আর কী করবেন না। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে বক্তব্যের ধারাটা পাল্টে গেল। সাধারণ বক্তব্য থেকে তা পরিণত হল এক প্রকার হুশিয়ারিতে। তবে, সেই হুশিয়ারি কোনও সাধারণ মানুষকে নয়...বরং আস্ত একটি সরকারকে। পাকিস্তান সরকারকে।
আজকের 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেহারা। আজ ছিল তাঁর ২৩তম অনুষ্ঠান। আর সেখানেই অশান্ত কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁকে রীতিমতো উদ্বেগের সুরেই কথা বলতে শোনা যায়। বলেন, "কাশ্মীরে প্রতিটি প্রাণই অত্যন্ত দামী। তাই সেখানে কোনও ভাবেই প্রাণহানি বরদাস্ত করা হবে না। আর যারা এর পিছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদেরও হুশিয়ার করছি।"
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে অটল বিহারী বাজপেয়ীর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার চেষ্টা হবে
তিনি বলেন, ''কাশ্মীরে প্রতিটি দলই এই অশান্তিকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। তাই এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।''
প্রসঙ্গত, গতকালই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সেদেশের ২২জন সাংসদকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উদ্দেশ্য কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে সেখানে প্রচার চালানো। আর তার ঠিক একদিন পরই নরেন্দ্র মোদী এই বার্তা যথেষ্ট অর্থবহ হলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।