নীরবকে দেশে ফেরাতে তত্পর নয় ভারত, দাবি ব্রিটেনের

সম্প্রতি লন্ডনের রাস্তায় দেখা গিয়েছিল নীরব মোদীকে। সাংবাদিকের সব প্রশ্নের উত্তরই তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু জানা গিয়েছিল তিনি অন্য নামে লন্ডনে হিরের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি।

Updated By: Mar 12, 2019, 02:25 PM IST
নীরবকে দেশে ফেরাতে তত্পর নয় ভারত, দাবি ব্রিটেনের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের দু'রকম অবস্থানের অভিযোগ উঠল। মুখে তারা ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে ফেরাতে তত্পরতার কথা বলছে সরকার। কিন্তু কাজে এ নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি লন্ডনের রাস্তায় দেখা গিয়েছিল নীরব মোদীকে। সাংবাদিকের সব প্রশ্নের উত্তরই তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু জানা গিয়েছিল তিনি অন্য নামে লন্ডনে হিরের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি।

নীরব মোদীর ভিডিও যেদিন সামনে আসে, সেদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি সেদিন জানিয়েছিলেন, নীরব মোদীকে দেশে ফেরানোর সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসে ভাঙন! বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জোর জল্পনা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দল নেতার ছেলের 

এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনের তরফে নীরব মোদী সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে সেদেশ থেকে ভারতে একটি আইনি-দল আসতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের তরফে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

নীরব মোদী-সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৩০০০ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। কিন্তু তার পর থেকে নীরবের হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ২০১৮-র মার্চে ব্রিটেনের তরফে ভারতকে জানানো হয় নীরব মোদী সেখানেই রয়েছেন।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এটাই সেরা সময়, দাবি উঠল রাষ্ট্রসংঘে

এ নিয়ে যখন ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে, তখন ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়ে আবেদনের জন্য নিজের আইনি পরামর্শদাতা তৈরি করে ফেলেছেন।

অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, গত বছরের অগস্টের মধ্যে ব্রিটেনের কাছে নীরবকে প্রত্যর্পণের জন্য দু'টি অনুরোধ যায় ভারতের তরফে। একটি অনুরোধ পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। দ্বিতীয়টি পাঠানো হয় ইডি-র তরফে।

আরও পড়ুন: মোদীর ‘ঘরেই’ তৈরি হবে কংগ্রেসের রণকৌশল, আমেদাবাদে হাজির রাহুল-সনিয়া-প্রিয়ঙ্কা

একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের তরফে নীরব মোদী মামলায় ব্রিটেনের তরফে অতিরিক্ত নথি চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই বলেই বিদেশমন্ত্রকের দাবি। 

.