নরোড়া পাটিয়া মামলা: ২৮ বছরের জেল কোডনানির, বজরঙ্গির আমৃত্যু কারাদণ্ড

গোধরা পরবর্তী নরোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ট প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৎকালীন বিধায়ক মায়াবেন কোডনানিকে ২৮ বছর এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা বাবু বজরঙ্গিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত।

Updated By: Aug 31, 2012, 03:56 PM IST

নরোড়া পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় নরেন্দ্র মোদী-ঘনিষ্ঠ বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক মায়াবেন কোডনানিকে ২৮ বছর এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা বাবু বজরঙ্গিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত বাকি ৩০ জনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
গত বুধবারই কোডনানি এবং বজরঙ্গি-সহ ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারপতি জ্যোত্স্না  যাজ্ঞিক। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে ২৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। কোডনানি এবং বজরঙ্গিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭ ধারায় ষড়যন্ত্র, খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। গুজরাত দাঙ্গায় তিনিই প্রথম মহিলা এবং প্রথম বিধায়ক যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেলেন।
নরেন্দ্র মোদী-ঘনিষ্ঠ মায়া কোডনানি নরোড়ার তিন বারের বিধায়ক। ২০০৭-এ নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ২০০৯-এ তাঁকে গ্রেফতার করার পর পদত্যাগ করেন কোডনানি।
২০০২-এ ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগার ঠিক একদিন পরেই, বন্‌ধের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেদিন নরোড়া পাটিয়া এলাকায় একটি জমায়েত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯৭ জনের। এঁরা সকলেই সংখ্যালঘু। আহত হন ৩৩ জন। ঘটনায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। কোডনানি ও বজরঙ্গি ছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিপীন পঞ্চল, কিষাণ কোরানি, অশোক সিন্ধি এবং আইনজীবী রাজু চৌমল। ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে এই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই এক অভিযুক্ত, বিজয় শেঠী, মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শী, নিহত এবং আহতদের পরিজন, ডাক্তার, পুলিস, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিকসহ মোট ৩২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এই মামলায়।
গোধরা কাণ্ডে অনেক মামলাতেই সাক্ষ্যদানের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন বহু অভিযুক্ত। তবে সিটের তদন্তের ভিত্তিতে এক্ষেত্রে কঠোর রায় দিল আদালত। গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় ৩১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, ৬৩ জন মুক্তি পান। সর্দারপুরা দাঙ্গা মামলায় ৪২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়, দোষী সাব্যস্ত হয় ৩১ জন।
চলতি বছরেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নরোদা পাটিয়া হিংসায় মায়া কোদনানি এবং বাবু বজরঙ্গি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্পষ্টতই অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী।
গোধরা পরবর্তী নরোদা পাটিয়া দাঙ্গা মামলায় নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ট প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৎকালীন বিধায়ক মায়াবেন কোডনানিকে ২৮ বছর এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা বাবু বজরঙ্গিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ঘটনায় দোষী বাকি ৩০ জনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। বিশেষ আদালতের বিচারপতি জ্যোৎস্না যাজ্ঞিক এই রায় দেন।
গত বুধবারই কোডনানি এবং বজরঙ্গি সহ ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে ২৯ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। কোডনানি এবং বজরঙ্গিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধের ষড়যন্ত্র (১২০ বি), খুন (৩০২), খুনের চেষ্টায় (৩০৭) দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ মায়া কোদনানি নারোদার তিনবারের বিধায়ক। ২০০৭-এ নারী ও শিশুকল্যান দফতরের মন্ত্রী হন তিনি। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট ২০০৯-এ তাঁকে গ্রেফতার করলে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনিই প্রথম মহিলা এবং প্রথম বিধায়ক যিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
২০০২-এর গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার ঠিক একদিন পরেই, ২৮ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেদিন নারোদা পাটিয়া এলাকায় একটি জমায়েত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ৯৭ জন মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৩ জন। ঘটনায় ৬১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয়। কোডনানি ও বজরঙ্গি ছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিপীন পঞ্চল, কিষাণ কোরানি, অশোক সিন্ধি এবং আইনজীবি রাজু চৌমল। ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে এই মামলার প্রথম শুনানি শুরু হয়। মামলা চলাকালীনই এক অভিযুক্ত, বিজয় শেঠী, মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শী, নিহত এবং আহতদের পরিজন, ডাক্তার, পুলিস, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিকসহ মোট ৩২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় এই মামলায়।
গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা নিয়ে সিটের তদন্তের ভিত্তিতে যে যে মামলার রায়দান হয়েছে তার মধ্যে নারোদা পাটিয়াই প্রথম যেখানে প্রমানের অভাবে মুক্তদের তুলনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগার মামলায় ৩১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, ৬৩ জন মুক্তি পান। সর্দারপুরা দাঙ্গা মামলায় ৪২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়, দোষী সাব্যস্ত হয় ৩১ জন।
চলতি বছরেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নরোদা পাটিয়া হিংসায় মায়া কোদনানি এবং বাবু বজরঙ্গি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্পষ্টতই অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী।

.