নীতীশের শপথে একই মঞ্চে মমতা-মুলায়ম-ইয়েচুরি-কেজরিওয়াল
আজ বিহারের কুর্সিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। দুপুর দুটোয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু এবারের নীতীশের শপথ গ্রহণ আর পাঁচটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নয়। দেশের রাজনীতিতে এক নয়া জোটের প্রস্তুতি হিসাবেই এই অনুষ্ঠানকে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ওয়েব ডেস্ক: আজ বিহারের কুর্সিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার। দুপুর দুটোয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু এবারের নীতীশের শপথ গ্রহণ আর পাঁচটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নয়। দেশের রাজনীতিতে এক নয়া জোটের প্রস্তুতি হিসাবেই এই অনুষ্ঠানকে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মোদী বিরোধী এক সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মঞ্চের বীজ বপন হতে পারে বলে মনে করেছেন বহু রাজনীতিক। নীতীশের অতিথি তালিকাতেই রয়েছে সেই নয়া জোটের ইঙ্গতি। অতিথি তালিকায় একদিকে যেমন আছেন রাহুল গান্ধী তেমনই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও। একই মঞ্চে থাকছেন রাহুল গান্ধীও। এই মঞ্চে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার যেমন আছেন তেমনি আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তাই পাটলিপুত্র নগরিতে যেন বীজবপন হতে চলেছে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশলের। সর্বভারতীয় এই মঞ্চ গড়েই মোদি বিরোধী রাজনীতির কাজটা দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন নীতীশ কুনার। মুলায়ম সিং যাদব বিহার নির্বাচনে নীতীশ-লালুর জোট সঙ্গী না হলেও এবার তিনি ভুল শুধরে সর্ববারতীয় ক্ষেত্রে এই মঞ্চে সামিল হতে চাইছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আজকের অনুষ্ঠানে থাকবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বেঙ্কাইয়া নাইডু ও রাজীবপ্রতাপ রুডিকে পটনায় যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিহার নির্বাচনের পরেই মোদি বিরোধী অসন্তোষ তীব্র হয়েছে। ফের ফেডারাল ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনাও উঁকি দিতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতিতে। সবমিলিয়ে নীতীশের শপথ গ্রহণ থেকে নতুন জোট গঠনের শপথ উঠে আসে কিনা এখন সেটাই দেখার।