Noida Twin Tower: দিল্লির কুতুব মিনারের থেকেও লম্বা, আজই গুঁড়িয়ে যাবে টুইন টাওয়ার
প্রায় ৯ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রবিবার দুপুর ২.৩০ টে নাগাদ ভেঙে ফেলা হবে বেআইনিভাবে তৈরি এই নয়ডার টুইন টাওয়ার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই ভেঙে ফেলা হবে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার (Noida Supertech twin towers)। নয়ডার ৪০ তলা টুইন টাওয়ার। রবিবার বিশেষ বিস্ফোরকের সহায়তায় ভেঙে ফেলা হবে সেই জোড়া টাওয়ার। আইনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৩ সালে এই টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু করেছিল প্রস্তুতকারী সংস্থা, প্রয়োজনীয় অনুমতি না নিয়েই। ধোপে টেকেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা, বিক্ষোভ। বাধ্য হয়ে স্থানীয় এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। প্রায় ৯ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রবিবার দুপুর ২.৩০ টে নাগাদ ভেঙে ফেলা হবে বেআইনিভাবে তৈরি এই নয়ডার টুইন টাওয়ার। এই জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স। উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে। তার উচ্চতা ৯৭ মিটার। এই যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও লম্বা।
টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য ৩ হাজার ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যেই তা বসানো হয়ে গেছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধোঁয়াশা বন্দুক, ১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক, আর কর্মীদের জন্য ৬টি যান্ত্রিক সুইপিং মেশিন আনা হয়েছে। ১৫০ সাফাই কর্মী এই দিন একসঙ্গে কাজ করবেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যা সরাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে। এমেরাল্ড কোর্টের প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা এবং সেক্টর 93A এর পার্শ্ববর্তী ATS ভিলেজ সোসাইটিগুলিকে আজ সকাল ৭ টার মধ্যে তাদের জায়গা খালি করতে বলা হয়েছে।
এই সুপারটেক টুইন টাওয়ার ভাঙতে প্রায় ৯ সেকেন্ড সময় লাগতে পারে। সেই টাওয়ার ভাঙার সময় ধুলোয় ঢেকে যেতে পারে গোটা এলাকা। তার জেরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। ২৬ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টুইন টাওয়ারের পাশের সবচেয়ে কাছের বিল্ডিংগুলি হল এমারল্ড কোর্ট সোসাইটির Aster 2 এবং Aster 3 যা মাত্র নয় মিটার দূরে। অন্য ভবনের যাতে কোনও কাঠামোগত ক্ষতি না হয় সেজন্য এমনভাবে ভেঙে ফেলা হবে। ধ্বংসাবসের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের ২টো ৩০ থেকে মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি পরামর্শও জারি করেছে। শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন এমন স্থানীয় বাসিন্দারা যারা ধ্বংসের স্থানের কাছাকাছি বসবাস করছেন, তাদের রবিবার দুপুর থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য মুখোশ পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যখন বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন, Atal Bridge : অটল ব্রিজের ৭ টি অজানা তথ্য