প্রথমে মা তারপর বাবা, এক সন্ধেয় দুজনকে খুন করে উদয়ন!
প্রথমে মা। তার পর বাবা। এক সন্ধেয় দুজনকে খুন করে উদয়ন। জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। এত সবের পর বাবা-মায়ের শেষকৃত্য করতে চেয়েছে উদয়ন।
ওয়েব ডেস্ক: প্রথমে মা। তার পর বাবা। এক সন্ধেয় দুজনকে খুন করে উদয়ন। জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। এত সবের পর বাবা-মায়ের শেষকৃত্য করতে চেয়েছে উদয়ন।
পুলিসের কাছে চমকে দেওয়ার মতো স্বীকারোক্তি উদয়ন দাসের। এক সন্ধেয় বাবা-মাকে খুন করে সে। পুরোটাই নিঁখুত ছক করে। পড়াশোনায় মোটেই ভাল ছিল না সে। ফলে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। মা-বাবার সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছিল। এর পরেই মা-বাবাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক করে উদয়ন।
আরও পড়ুন পুলিস আবাসনের মাটি খুঁড়তেই উঠে এল বস্তাভরা কঙ্কাল!
ঘটনার সন্ধেয় মা বাড়িতে একা ছিলেন। কাজে ব্যস্ত মাকে গলা টিপে খুন করে উদয়ন। বাবা ফিরলে সব কথা চেপে যায়। বাবা চা চাইলে, তাতে মিশিয়ে দেয় ঘুমের ওষুধ। বাবা অচৈতন্য হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সুন্দরনগরে গলির একদম শেষে দাস বাড়ি। ৮ফুট উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। বাইরে থেকে কিছু দেখা সম্ভব নয়। তাই লনেই দেহ পোঁতার ছক করে উদয়ন। ডেকে আনে পাড়ার এক নির্মিয়মাণ বহুতলের শ্রমিককে। তাকে দিয়ে গর্ত খোড়ায়। রাতে একাই দু-দুটি দেহ পুঁতে ফেলে মাটিতে।
কিন্তু সব কথাই কি সত্যি বলছে উদয়ন? উত্তর দেবে ফরেনসিন পরীক্ষা। সে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিস। গলা টিপে খুন কিনা বোঝা যাবে ঘাড়-গলার হাড় ভাঙা থাকলে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করা হলে তা খুলি পরীক্ষায় জানা সম্ভব। তবে এত বছর পর নমুনা কতটা অক্ষত রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন খুন করে এক সপ্তাহ আকাঙ্ক্ষার দেহ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল উদয়ন!
ফরেনসিক খুন প্রমাণ না হলে শুধুমাত্র অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে উদয়ন যা বলছে তাতে রীতিমতো বিস্মিত পুলিস থেকে মনোবিদ সকলে। আর এতসবের পরেও রবিবার উদ্ধার হওয়া দেহাবশষের শেষকৃত্য করতে চেয়েছে উদয়ন। চেয়েছে সন্তান হিসেবে মা-বাবার প্রতি শেষ দায়িত্ব পালন করতে।