প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিল না পাকিস্তান
এ মাসেই ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমানকেও তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বুধবার পাকিস্তানের কাছে ভারত আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছিল। ভারতের সেই অনুরোধ শুনল না পাকিস্তান। দিল্লির অনুরোধ ফিরিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানান, মোদীকে পাকিস্তানের এয়ারস্পেস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। এ মাসেই ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমানকেও তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান।
Pakistan Foreign Minister Shah Mehmood Qureshi: We have conveyed to the Indian High Commission that we will not allow use of our air space for Prime Minister Narendra Modi's flight. pic.twitter.com/dfZLpg5O66
— ANI (@ANI) September 18, 2019
২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে বেশ কয়েকটি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। তার পরই নিজেদের এয়ারস্পেস ভারতের জন্য বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এর জেরে কয়েকশো কোটি টাকার লোকশানের মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানকে। লোকশানের চাপে ফের জুলাই মাসের মাঝামাঝি এয়ারস্পেস খুলে দেয় পাকিস্তান। এর পর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর ফের ভারতের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান।
Ministry of External Affairs Spokesperson, Raveesh Kumar: We regret the decision of the Government of Pakistan to deny overflight clearance for the VVIP special flight for a second time in two weeks, which is otherwise granted routinely by any normal country. 1/2 (File pic) https://t.co/39J2fctJuo pic.twitter.com/JnvTcHoi4V
— ANI (@ANI) September 18, 2019
আরও পড়ুন: আবার ধাক্কা খেল পাকিস্তান, কাশ্মীরে ভারত বেশ করেছে, জানিয়ে দিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন
পাক আকাশপথ ব্যবহার অনুমতি মেলেনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আর এ বার প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমানের জন্য। কিন্তু ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধের কোনও নোটিশ সরকারি ভাবে এখনও দেওয়া হয়নি পাকিস্তানের তরফে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখোপাত্র রবীশ কুমার।