নয়াদিল্লিতে SCO সম্মেলনে ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাবে মোদী সরকার
পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চলতি বছর দিল্লিতে বসছে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) আসর। ওই সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, এসসিও-র ৮ সদস্য দেশ ও ৪ পর্যবেক্ষক থাকবে দিল্লিতে এসসিও-র বৈঠকে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন,''চলতি বছরের শেষে সম্মেলন আয়োজন করবে ভারত। নিয়ম ও প্রক্রিয়া মেনে ৮ সদস্য ও ৪ পর্যবেক্ষক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।''
সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনে সদস্য দেশগুলি- ভারত, চিন, কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় ভারত ও পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবে সম্মেলনে পাকিস্তানও ডাক পেতে চলেছে। পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
Raveesh Kumar, MEA: It is now a public knowledge that India will be hosting the SCO council of heads of govt meeting later this year. The meeting is held annually at the Prime Minister's level and it discusses the SCO's program & multilateral economic & trade co-operation. pic.twitter.com/tit0mF7lG0
— ANI (@ANI) 16 January 2020
গত ১ জানুয়ারি পড়শি দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মলদ্বীপের প্রধানদের ফোনে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় ইমরান খানের আমন্ত্রণ খুব বেশি তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে না কূটনৈতিক মহল। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ব্যাপারটি কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা। এর মধ্যে অন্য প্রসঙ্গ খোঁজা নিরর্থক। এখন দেখার ইমরান ভারতে আসেন কিনা?
উরি হামলার পর থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। গতবছর পুলওয়ামা হামলার পর তা আরও বেড়েছে বই কমেনি! মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে গোঁসা হয় ইমরান খানের। রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে আন্তর্জাতিক মহলে দৌত্য করেও নয়াদিল্লিকে কোণঠাসা করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এর মধ্যে সিএএ নিয়ে ভারতে পুলিসি নির্যাতনের অভিযোগ করে ভুয়ো ভিডিয়োও ছড়িয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পরে তা মুছেও ফেলেন। ফলে দু'দেশের সম্পর্ক এখনও বিশবাঁও জলেই।
আরও পড়ুন- নোটের উপর লক্ষ্মীর ছবি থাকলে বাড়বে টাকার দাম! বিজেপি সাংসদের নতুন নিদান