পাতা পেলেন পালানি-পন্নিররাই
দলীয় প্রতীক নিজেদের দখলে থাকার খবরে যার পর নাই খুশি পন্নির-পালানি এবং তাঁদের সমর্থকরা। অন্যদিকে, শশীকলা শিবিরের মতে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরেই দলীয় প্রতীক 'হাত করেছে' ক্ষমতাসীন শিবির। তাই, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: জোড়া পাতা ফিরে পেল পন্নিরসেলভম-পালানিস্বামী শিবির। নির্বাচন কমিশনের তরফে বৃহস্পতিবার একথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে প্রতীকের দৌড় থেকে ছিটকে গেল শশীকলা শিবির।
দলীয় প্রতীক নিজেদের দখলে থাকার খবরে যার পর নাই খুশি পন্নির-পালানি এবং তাঁদের সমর্থকরা। অন্যদিকে, শশীকলা শিবিরের মতে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরেই দলীয় প্রতীক 'হাত করেছে' ক্ষমতাসীন শিবির। তাই, নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
শশীকলা-টিটিভি দিনাকরণদের এমন অভিযোগ মানতে একেবারেই নারাজ ক্ষমতাসীন শিবিরের নেতারা। বরং তাঁদের দাবি, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক, সাংসদ এবং সর্বোপরি সমর্থকরা তাঁদের দিকেই। ফলে তাঁরাই যে 'আসল এআইএডিএমকে' এ বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। 'আম্মা'র আশীর্বাদের হাতও রয়েছে তাঁদের মাথার উপরে। অন্যদিকে, দিনাকরণ ঘুষ দিয়ে 'জোড়া পাতা' চিহ্ন 'হাতাতে' চেষ্টা করেছিলেন, এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিসকে এদিন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত।
প্রসঙ্গত, জয়ললিতার মৃত্যুর পরই দলে ও সরকারে নিরঅঙ্কুশ কর্তৃত্ব কায়েম রাখতে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ও পন্নিরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করেন শশীকলা। দলের শীর্ষপদে নিজেই বসেন তিনি। ইতিমধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল যেতে হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে বসতে পারেননি তিনি। সে সময় ই পালানিস্বামীকে ওই পদে বসান শশীকলা। আর দলের নিজের আধিপত্য কায়েম রাখতে ভাইপো টিটিভি দিনাকরণকে শীর্ষ পদে বসান শশীকলা। এরপর তামিল রাজনীতিতে নানা ঘাত প্রতিঘাতের পর কাছে আসেন পুরানো বন্ধু পন্নির-পালানি। বিচ্ছেদ পিছনে ফেলে ক্রমে তাঁরা জোটবদ্ধ হয়। আর এরপরই কার্যত একঘরে হয়ে যায় শশীকলার প্রতিনিধি দিনাকরণ।
এরপরই দলীয় প্রতীক জোড়া পাতার দখল নিয়ে তুমুল লড়াই শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। দু'পক্ষের তরফেই নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে আবেদন। ১১১ পাতার আবেদন জমা দেয় দিনাকরণ শিবির। পন্নির-পালানির তরফ থেকে জমা দেওয়া হয় ৮২ পাতার আবেদন। এদিন সেই আবেদন বিচার করেই এদিন সিদ্ধান্ত জানাল দিল্লির নির্বাচন সদন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, পাতার সংখ্যায় দিনাকরণরা এগিয়ে থাকলেও, দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নিয়ে 'যোগ্য হিসাবেই' জয় পেল পালানি-পন্নির শিবির।