যৌননিগ্রহে বাধা পেয়েই খুন পল্লবীকে
আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই খুন হয়েছেন পল্লবী পুরকায়স্থ। তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করেছে মুম্বই পুলিস। পল্লবীর দেহ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাতেই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। অভিযুক্তর নাম সাজ্জাদ পাঠান। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী সাজ্জাদ।
আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই খুন হয়েছেন পল্লবী পুরকায়স্থ। তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করেছে মুম্বই পুলিস। পল্লবীর দেহ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাতেই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। অভিযুক্তর নাম সাজ্জাদ পাঠান। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই আবাসনের সাজ্জাদ। পরে, তাকে মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের দাবি, জেরায় সাজ্জাদ খুনের কথা স্বীকার করেছে। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটিও। সাজ্জাদের বয়ান অনুযায়ী পল্লবীর ওপর তার দুর্বলতা ছিল। উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে পল্লবীর ফ্ল্যাটের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় সাজ্জাদ। এরপর ইলেকট্রিশিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পল্লবীর ফ্ল্যাটে যায় সাজ্জাদ। সেইসময়ই ফ্ল্যাটের চাবি পকেটস্থ করে বলে জানিয়েছে সাজ্জাদ।
এরপর রাত দেড়টা নাগাদ ফের পল্লবীর ফ্ল্যাটে যায় সাজ্জাদ। বেডরুমে ঢুকে পল্লবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে পল্লবী বাধা দেয়। খুন করার আগে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে সাজ্জাদ। এরপরই ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে নৃশংস ভাবে পল্লবীকে হত্যা করে সাজ্জাদ। পল্লবীর পুরুষবন্ধু অভীক সেই সময় ফ্ল্যাটে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা নাগাদ ঘরে ঢুকে পল্লবীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান অভীক। এরপর তাঁদের এক প্রতিবেশী পুলিসকে খবর দেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের অভিজাত ওয়াডালা এলাকার হিমালয়ান হাইটস নামের এক বহুতলের ১৬ তলা থেকে থেকে উদ্ধার হয় পল্লবীর দেহ। তাঁর গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান ছিল খুন করা হয়েছে পল্লবীকে। সেই অনুযায়ী খুনের মামলা দায়ের করে তাঁর পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্ত এবং বাড়ির পরিচারককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিস। কথা বলা হয় আবাসনের দারোয়ান, লিফটম্যান, এলাকার হকার এবং আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গেও। তদন্তের স্বার্থে পল্লবীর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপরই রাতে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পল্লবী পেশায় আইনজীবী ছিলেন। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। অভিনেতা পরিচালক ফারহান আখতারের আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। পল্লবীর বাবা একজন আইএএস অফিসার। মা দিল্লির মহানগর টেলিফোন নিগমে কর্মরত। যেই বহুতল থেকে পল্লবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসনে তাঁর পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্তর সঙ্গে থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিস। তিনিও পেশায় আইনজীবী।