রাজ্যসভায় পাস হয়ে দেশের ২৯ তম রাজ্য হল তেলেঙ্গানা
রাজ্যসভায় পাস হয়ে দেশের ২৯ তম রাজ্য হল তেলেঙ্গানা
দেশের ২৯ তম রাজ্য গঠনের রাস্তা পরিস্কার হয়ে গেল। লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হল অন্ধ্রপ্রদেশ পুনগর্ঠন বিল। বিল পাশ হওয়ায় দেশের উনত্রিশতম রাজ্যের মর্যাদা পেতে চলেছে তেলেঙ্গানা।
লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও এই বিল ধ্বনিভোটে পাশ হল। যদিও রাজ্যসভায় এই বিল পাশের রাস্তা খুব একটা মসৃন হয়নি। হট্টগোলে দিনভর আজ রাজ্যসভা দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায়। দুপুরে সরকারপক্ষের সঙ্গে বিজেপির আলোচনায় রফাসূত্র বের হয়।
সীমান্ধ্রের জন্য স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণায় সম্মত হয় সরকার। সেইমতো প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় সীমান্ধ্রের জন্য স্পেশাল ঘোষণা করেন। পাঁচ বছরের জন্য সীমান্ধ্রকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই ঘোষণার সময়েও সভায় হইহট্টগোল চলতে থাকে। তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিলের কপি ছিড়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় বিল। সংসদের দুই কক্ষের অনুমোদন মেলায় এই বিল এখন পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললেই দেশ পাবে ২৯তম রাজ্য।
রাজ্যসভায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল পাশ করাতে সীমান্ধ্রের জন্য ছ দফা স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার বেশিরভাগ অংশই অবশ্য সভায় শোনা যায়নি। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিলের বিরোধী সাংসদরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ওব্রায়েন, সৃঞ্জয় বসুরা ওয়েলে নেমে বিলের কপি টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলেন। সঙ্গে ছিল স্লোগান। এই হট্টগোলের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সীমান্ধ্রের জন্য ছ দফা স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
প্যাকেজ অনুযায়ী, সীমান্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে। এর আওতায় রায়ালসীমার চারটি জেলা, উপকূলীয় অন্ধ্রের তিনটি জেলা সহ অন্ধ্রের তেরোটি জেলা পড়বে।
শিল্প এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য করছাড়ও দেওয়া হবে।
কোরাপুট-বোলানগির-কালাহান্ডি বিশেষ প্রকল্প এবং বুন্দেলখণ্ড বিশেষ প্যাকেজের ধাঁচেই সীমান্ধ্রের বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ রূপায়িত হবে।
যেকোনও পরিস্থিতিতেই নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে পোলাভরম প্রকল্প।
কর্মী,অর্থ, সম্পত্তি ও ঋণের বণ্টন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেদিকে নজর রেখেই নতুন রাজ্য গঠনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।
নতুন রাজ্যগঠনের পর প্রথম বছরে সম্পদ উন্নয়নের ঘাটতি মেটানো হবে সাধারণ বাজেট থেকে।