সংসদে পাস লোকপাল বিল
ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস হয়ে গেল লোকপাল ও লোকায়ুক্ত বিল। মঙ্গলবার রাত দশটা পঞ্চাশ মিনিটে লোকসভায় এই বিল পাস হয়। ৩২১-৭১ ভোটের ব্যবধানে পাস হল বিল।
ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস হয়ে গেল লোকপাল ও লোকায়ুক্ত বিল। মঙ্গলবার রাত দশটা পঞ্চাশ মিনিটে লোকসভায় এই বিল পাস হয়। ৩২১-৭১ ভোটের ব্যবধানে পাস হল বিল। লোকপাল বিলের সঙ্গেই পাস হয়ে যায় এই সংক্রান্ত সংবিধান সংক্রান্ত বিলটিও। ফলে লোকপাল বিলের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথেও আর বাধা রইল না। ১৯৬৮ সাল থেকে এই নিয়ে ৯ বার সংসদে পেশ করা হয়েছে লোকপাল বিল। তৈরি হয়েছে একাধিক খসড়া। কিন্তু এই প্রথমবার লোকসভায় টানা দশ ঘণ্টার দীর্ঘ বিতর্কের পর পাস হল লোকপাল বিল।
লোকপাল বিল পাসের পরই প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন বাম, বিজেডি এবং এআইডিএমকে-র সাংসদেরা। ভোটাভুটির আগেই ওয়াকআউট করেন সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদেরা। সরকারের পক্ষে বিলের হয়ে জবাবি ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই লোকপাল আইন সেরা না হলেও এটি যথেষ্ট ভাল। লোকপালের আওতায় শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে রাখা হলেও বাদ রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর তিনটি শাখাকেই। লোকপালের আওতায় কর্পোরেট ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে আনার জন্য সংশোধনী দিয়েছিল বামেরা। তাঁদের সেই সংশোধনীও খারিজ হয়ে যায়। তবে লোকায়ুক্ত নিয়ে বিরোধী ও শরিকদের দাবি মেনে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছে সরকার। নতুন আইনে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া লোকায়ুক্ত নিয়োগ করা যাবে না। কাল রাজ্যসভায় পেশ করা হবে বিল।
লোকপালে লোকায়ুক্তের সংস্থান নিয়ে বিরোধী বেঞ্চ থেকে সরকারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান সুষমা স্বরাজ। সরকারের পেশ করা লোকপাল বিল অসাংবিধানিক। এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেন তিনি। লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী বলেন, লোকায়ুক্ত গঠনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে রাজ্যকে বাধ্য করা যায় না।
বড়দিনের ছুটির পর তিনদিন চলবে সংসদের অধিবেশন। লোকপাল বিল নিয়ে আলোচনার জন্য শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সংসদে লোকপাল বিল পেশ করা হয়।
সরকারি বিলের প্রতিবাদে আজ থেকে অনশন শুরু করছেন আন্না হাজারে। তবে, লোকপাল বিল নিয়ে সংসদই যে শেষ কথা বলবে, ইতিমধ্যেই সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
চলতি অধিবেশনে বিলটি পাশ করানোই এখন সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। হুইপ জারি করে দলীয় সদস্যদের আজ থেকে তিনদিন সংসদে উপস্থিত থাকতে বলেছে কংগ্রেস। ইউপিএ জোটসঙ্গীদেরও অধিবেশনে হাজির থাকার কথা বলা হয়েছে।