এনসিটিসি নিয়ে আলাদা বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রীদের দাবি মেনে জানাল কেন্দ্র
শেষ পর্যন্ত রাজ্যগুলির প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র(এনসিটিসি) গঠনের প্রস্তাব নিয়ে সুর নরম করল কেন্দ্র। আগামী ৫ মে দিল্লিতে এনসিটিসি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
শেষ পর্যন্ত রাজ্যগুলির প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র(এনসিটিসি) গঠনের প্রস্তাব নিয়ে সুর নরম করল কেন্দ্র। আগামী ৫ মে দিল্লিতে এনসিটিসি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ১০ দফা আলোচ্যসূচী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনমোহন সিং। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী, নবীন পট্টনায়ক, নীতীশ কুমার, জয়ললিতারা। অন্য আলোচ্য বিষয়ের সঙ্গে এনসিটিসি-কে যুক্ত না করে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠকের দাবি তোলেন তাঁরা। কার্যত সেই দাবি মেনে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৬ এপ্রিলের বৈঠকে এনসিটিসি এবং মাল্টি ব্র্যান্ড খুচরো পণ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব বাদে বাকি ৮টি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ এবং এনসিটিসি নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠকে হবে ৫ মে।
ইতিমধ্যেই এনসিটিসি`কে পোটা এবং টাডা`র থেকেও খারাপ আইন বলে চিহ্নিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীরাও `রাজ্যের ক্ষমতা ও অধিকার খর্ব হওয়ার` আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র গঠনের কেন্দ্রীয় উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৫ মে` বৈঠকে ইউপিএ সরকারের পক্ষে এনসিটিসি গঠনের ছাড়পত্র পাওয়া কার্যত অসম্ভব হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।