টুজি লাইসেন্স বাতিল নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
টুজি স্পেকট্রাম কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে আলোচনায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, শনিবার মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
টুজি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের দিশানির্দেশিকা স্থির করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মনমোহন সিং। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্স রোডের বাসভবনে আয়োজিত এই আলোচনায় হাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল, অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতী এবং টেলিকম সচিব আর চন্দ্রশেখর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া ১২২টি স্পেকট্রামের পাশাপাশি প্রাক ২০০৮ পর্বে বিধি ভেঙে বণ্টন করা স্পেকট্রামগুলি সম্পর্কে সম্ভাব্য সরকারি নীতি নিয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জি এস সিংভি এবং বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ২০০৮ সালে আন্দিমুথু রাজার জমানায় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বণ্টন করা ১২২টি টুজি স্পেকট্রাম লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দেয়। ওই লাইসেন্সগুলি টেলিকম নিয়ামক সংস্থা `ট্রাই`-এর বিধি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া, টুজি কাণ্ডে বেনিয়মের অভিযোগে ৬টি টেলিকম কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ৩টি সংস্থা, এটিসালাত ডিবি, ইউনিনর এবং টাটা টেলিসার্ভিসেস-কে ৫ কোটি টাকা করে এবং লুপ এবং এসার টেলিকম ও সিস্টেমা-শ্যাম`কে ৫০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
নিয়ম বহির্ভূত ভাবে স্পেকট্রাম পাওয়া সার্কেলগুলিতে টুজি পরিষেবা বন্ধ করতে সংস্থাগুলিকে ৪ মাস সময় দেওয়া হয়। ৪ মাস পরে সরকারকে নতুন করে স্পেকট্রাম বন্টনের প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ইউনিফায়েড অ্যাকসেস লাইসেন্স বাতিল হওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে এটিসালাত ডিবি-তে সংযুক্ত আরব আমীরশাহী, ইউনিনর-এ নরওয়ে এবং সিস্টেমা-শ্যাম-এ রাশিয়ার টেলিকম সংস্থার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নরওয়ে সরকারের তরফে সে দেশের টেলিকম কোম্পানি টেলিনর-কে রক্ষা করতে কূটনৈতিক দৌত্য শুরু হয়েছে। রুশ কোম্পানি সিস্টেমা'র পক্ষে সওয়াল করতে সে দেশের টেলিকমমন্ত্রী ইগর সাচিওগোলেভ স্বয়ং ভারত সফরে আসছেন। এটিসালাতের জন্য সাউথ ব্লকে অনুরোধ আসছে পশ্চিম এশিয়া থেকে। এই পরিস্থিতিতে এদিন বিভিন্ন আইনগত দিক পর্যালোচনা করে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের স্পেকট্রাম কৌশল স্থির করতেই অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।