পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে JEE-NEET পিছনোর দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা আবহে NEET-JEE সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান মমতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সেপ্টেম্বরে জেইই-নিট (JEE - NEET) প্রত্যাহারের দাবি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গতকাল জেইই-নিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর পরামর্শ ছিল, পড়ুয়াদের ‘মন কি বাত’ শুনে সিদ্ধান্ত নিক সরকার। সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান, শেষ ভিডিয়ো-বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাই, করোনা আবহে NEET-JEE সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান মমতা।
মমতা জানান, মঞ্জুরি কমিশন নির্দেশিকা দিয়ে স্কুল-কলেজে পরীক্ষা করানোয় যে ভাবে তত্পরতা দেখাচ্ছে, তাতে পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে প্রবল। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন মমতা। তেমনই কেন্দ্রের উচিত জেইই-নিট এই মুহূর্তে পিছিয়ে দেওয়ার। পড়ুয়াদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
In our last video conference with the Hon’ble PM Shri @narendramodi Ji, I had been vocal against the UGC guidelines mandating completion of terminal examinations in Universities/Colleges by the end of September 2020, which had a huge potential to put student lives at risk. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 24, 2020
Now with the directive of @EduMinOfIndia to conduct NEET, JEE 2020 in Sep, I would again appeal to the Centre to assess the risk and postpone these examinations until the situation is conducive again. It is our duty to ensure a safe environment for all our students. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 24, 2020
আরও পড়ুন- ‘হাতের’ দায়িত্ব কার হাতে? গান্ধী না অগান্ধী! ফয়সলা কিছুক্ষণের মধ্যেই
করোনা আবহে পরীক্ষা করানোর বিপক্ষে মত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। তাঁর প্রশ্ন, এনটিএ আয়ুশ-এর প্রবেশিকা পরীক্ষার আডমিড কার্ড বিলি করেও মুলতুবি রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। তা হলে ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট), জেইই মেইনের ক্ষেত্রে নয় কেন? উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টও খারিজ করে দেয় পরীক্ষা না হওয়ার পড়ুয়াদের আবেদন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, করোনা পরিস্থিতি এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না। সময় লাগবে। তা বলে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যত্ বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া যায় না।