ডেরায় শারীরিক সৌন্দর্য দেখে সাধিকা রাখত রাম রহিম, ক্ষমার নামে চলত 'ধর্ষণ', চাঞ্চল্যকর তথ্য
ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমার নামে চলত 'ধর্ষণ'। আর স্বেচ্ছায় তা শারীরিক মিলনে অস্বীকার করলে চলত অকথ্য নির্যাতন। গুলি করে খুন করে লাশ মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে। এমনটাই নাকি হুমকি দিত রাম রহিম। হরিয়ানায় রাম রহিমের ৭০০ একর এলাকায় তৈরি ডেরা আসলে ছিল নানা অনৈতিক কাজের আখড়া। সাধনার নামে সেখানে মেয়েদের শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলত রাম রহিম। ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। আরও কুকীর্তি জানা গিয়েছে যা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনি।
রাম রহিমের শোওয়ারঘরকে বলা হত ডেরা। রাম রহিমের খাতিরযত্নের জন্য সবসময়ই থাকতেন ২০০ জন সাধিকা। তাঁদের আবার সাদা শাড়ি পরে, চুল খোলা রেখে রহিমের সামনে যেতে হত। জানা গিয়েছে, রূপ, শারীরিক সৌন্দর্য দেখেই সাধিকা পছন্দ করতেন রাম রহিম।
সেবাদাসীদের কেউ কখনও কোনও ভুল করলে 'বাবা'র রোষের মুখে পড়তে হত তাঁদের। অভিযোগ, মাফ করার নামে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করত রাম রহিম। কেউ তাতে রাজি না থাকলে খুনের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। রাম রহিম ধর্ষণকাণ্ডে এই সমস্ত তথ্য প্রথমবার এক সেবিকার কথায় জানা যায়। ডেরায় কী কী চলত, তাঁর চিঠিতেই উঠে আসা নানা বিস্ফোরক তথ্য।
ভারতীয় সেনার গোপন সূত্রের খবর ২০১০ সাল থেকেই ডেরার আস্তানায় চলত অস্ত্রশিক্ষা। অনেক প্রাক্তন সেনা কর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ানোর কাজে ব্যবহার করা হত বলে খবর। তবে পুলিশ, ডেরার ভিতরে কোনও অস্ত্রের চিহ্ন পায়নি বলেই জানিয়ে ছিল। কিন্তু শুক্রবারের হিংসায় ডেরা ভক্তদের হাতে অস্ত্র দেখে সেই সন্দেহ আবারও চাগাড় দেয়।