ত্রিপুরার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
দক্ষিণ ত্রিপুরার উদয়পুরের বাসিন্দা বিপ্লব ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি আরএসএস-এও যোগ দেন

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির উত্তরপূর্ব ভারত অভিযানের ধাক্কায় ত্রিপুরায় আড়াই দশকের সিপিএম শাসন এখন অস্তাচলে। অঙ্ক কষে প্রচার করে, সুনীল দেওধরের মতো নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে নামিয়ে মানিক সরকারকে গদিচ্যুত করেছে বিজেপি। এখন প্রশ্ন, কে হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এখনও পর্যন্ত যে নামটি উঠে আসছে তিনি হলেন আরএসএসের পুরনো কর্মী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব। প্রাক্তন আরএসএসের এই কর্মী সেই বড় দায়িত্ব নিতেও পিছপা নন। সংবাদ মাধ্যমে বিপ্লব জানিয়েছেন, ‘দল সবকিছু ঠিক করবে। তবে কোনও বড় দায়িত্ব নিতে পিছপা নই।’ ত্রিপুরায় দলের পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধরও বিপ্লবের উপরে আস্থা যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। দেওধর বলেন, ‘দলের প্রধান হিসেবে তরুণ একটি মুখ খোঁজ করা হচ্ছিল। দিল্লিতে কথা হওয়ার পরই ওকে ত্রিপুরায় আনা হয়।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় বাম বিদায় যুগান্তকারী, উচ্ছ্বসিত মোদী
দক্ষিণ ত্রিপুরার উদয়পুরের বাসিন্দা বিপ্লব ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি আরএসএস-এও যোগ দেন। সেখানেই বিপ্লবের সঙ্গে সুনীল দেওধরের পরিচয় হয়। প্রসঙ্গত, এই সুনীল দেওধরই ২০১৪ বারাণসীতে মোদীর নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। দেওধরই বিপ্লবকে ত্রিপুরায় পাঠান বিজেপির সংগঠন গড়ার জন্য। পরে তাঁকে দলের সভাপতি করা হয়।
ত্রিপুরায় এবার প্রচারে বিপ্লবের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী নীতি। এসবিআইয়ের দিল্লির পার্লামেন্ট হাউস ব্যাঞ্চের ডেপুটি ম্যানেজার নীতি সংবাদ মাধ্যমে জানান, বিজেপির চলো পাল্টাই স্লোগানটাই মানুষকে টেনেছিল। বুঝেছিলাম মানুষের সামনে কোনও বিকল্প নেই বলেই তাঁর সিপিএমে আটকে রয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে একটা খোলা হওয়া বইবে।