নোটাকে হারিয়ে আন্ধেরি পূর্বে জয়ী উদ্ধবপন্থী শিবসেনা
এই বছরের মে মাসে বর্তমান শিবসেনা বিধায়ক এবং রুতুজা লাটকের স্বামী রমেশ লাটকে মারা যাওয়ার পরে এই আসনটি শূন্য হয়। এর পরে তিন নভেম্বর ফের উপনির্বাচন হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই নির্বাচনে ১২,৮০৬ ভোট পেয়েছে উপরে নন অফ দ্য এবোভ অর্থাৎ নোটা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবসেনার উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে পন্থী প্রার্থী রুতুজা লাটকে তাদের নতুন নাম এবং প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রথম জয় তিলে এনেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জল আন্ধেরির উপ-নির্বাচনে NOTA দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। মহারাষ্ট্রর বিধানসভার ১৬৬ আন্ধেরি পূর্ব কেন্দ্রে, ভোটদান প্রক্রিয়ায় মোট ৩১.৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১৯ রাউন্ডের পরে রুতুজা লাটকে ৬৬,৫৩০ ভোট পেয়ে সর্বাধিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হন। অন্যদিকে ছয়জন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ১২,৮০৬ জন NOTA-কে ভোট দিয়েছেন।
আন্ধেরির নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী মুরজি প্যাটেল নির্বাচনী ফর্ম পূরণ করেছেন। বিরোধী নেতাদের অনুরোধের পর, বিজেপি প্রার্থী ফিরিয়ে নেয় এবং এই নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করে।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এই উপনির্বাচন থেকে তাদের মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করার পরে রমেশ লাটকের স্ত্রী রুতুজা লাটকে সহজে জয়ী হবেন বলে আশা করা হয়েছিল।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই নির্বাচনে ১২,৮০৬ ভোট পেয়েছে উপরে নন অফ দ্য এবোভ অর্থাৎ নোটা। জানা গিয়েছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করা বাকি প্রার্থীদের তুলনায় বেশি ভোট পেয়েছে নোটা। অর্থাৎ অন্য ছয়জন প্রার্থীর কেউই দুই হাজারের বেশি ভোট পাননি। NOTA নির্বাচকদের নির্বাচনে কোনও প্রার্থীদের পক্ষে ভোট না দেওয়ার সুযোগ দেয়।
এই বছরের মে মাসে বর্তমান শিবসেনা বিধায়ক এবং রুতুজা লাটকের স্বামী রমেশ লাটকে মারা যাওয়ার পরে এই আসনটি শূন্য হয়। এর পরে তিন নভেম্বর ফের উপনির্বাচন হয়। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নির্বাচন থেকে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করার পরে লাটকের পক্ষে ফলাফল আসবে তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল।
একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের পর জুন মাসে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) সরকারের পতনের পর এটি ছিল মহারাষ্ট্রে প্রথম নির্বাচন।
আরও পড়ুন: Tirupati Temple’s Assets: তিরুপতি মন্দিরের সম্পত্তি কত জানেন? জেনে চমকে উঠবেন...
উপনির্বাচনের ফলাফল জানার পরে, ঠাকরে বলেন যে রুতুজা লাটকের জয় দেখিয়েছে যে মানুষ শিবসেনাকে সমর্থন করছে।
ঠাকরে তার বাসভবন 'মাতোশ্রী'-তে রুতুজা লাটকের সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এটি একটি লড়াইয়ের সূচনা মাত্র। (দলের) প্রতীকটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মানুষ চরিত্রও খোঁজে। উপনির্বাচনের ফলাফল দেখায় যে মানুষ আমাদের সমর্থন করে’।
সেনার রমেশ লাটকে আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা আসন থেকে দুবার জয়লাভ করেন। ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা ৫৬ টি আসন জিতেছিল। মে মাসে রমেশ লাটকে মারা গেলে তার আসন সংখ্যা ৫৫ তে নেমে আসে।
জুন মাসে, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ৪০ জন সেনা বিধায়ক দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। এর ফলে এমভিএ সরকারের পতন ঘটে।
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস, দুই দলই এমভিএ-র অংশীদার ছিল। রুতুজা লাটকের প্রার্থীপদকে তাঁরা সমর্থন করে।