Salman Rushdie: এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারালেন সলমন রুশদি, অকেজো একটি হাতও
এক সাহিত্য সভায় ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছিল ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখকের উপর। তাঁর ঘাড়ে এবং শরীরে অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে প্রায় ১২ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। কোনওক্রমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত অগাস্টেই হামলা হয়েছিল সলমন রুশদির উপর। নিউ ইয়র্কে একটি সাহিত্য সম্মেলনে আচমকাই তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। আর তার জেরেই এবার এক চোখের দৃষ্টি হারালেন এই প্রখ্য়াত লেখক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে এক সাহিত্য সভায় ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছিল ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখকের উপর। তাঁর ঘাড়ে এবং শরীরে অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে প্রায় ১২ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। কোনওক্রমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, Diwali 2022: অযোধ্যাতে দীপোৎসব পালন প্রধানমন্ত্রীর, দেশের উন্নতির জন্য প্রার্থনা
নিউ ইয়র্কে একটি সাহিত্য সম্মেলনে আচমকাই তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। আর তার জেরেই এবার এক চোখের দৃষ্টি হারালেন এই প্রখ্য়াত লেখক। স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইসকে রুশদির সাহিত্যিক এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেছেন, “রুশদির আঘাত গুরুতর এবং তিনি এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তাঁর ঘাড়ে তিনটি গুরুতর ক্ষত ছিল। একটি হাতে স্নায়ু কেটে গিয়ে সেই হাতটি অক্ষম হয়ে গিয়েছে। তাঁর বুকে এবং শরীরে অন্যান্য অংশে আরও প্রায় ১৫টি ক্ষত রয়েছে। এটা একটা নৃশংস হামলা ছিল।”
ভারতেই মুসলিম কাশ্মিরী পরিবারের জন্মেছিলেন রুশদি। জীবনের অন্তত ৯টি বছর তিনি গোপন ডেরায় ব্রিটিশ পুলিশের সুরক্ষায় থাকতেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু খ্যাতি এসেছিল ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত বিতর্কিত 'স্যাটানিক ভার্সেস'-এর জন্য ৷ সেই শুরু ৷ প্রথমে ভারতেই নিষিদ্ধ হয় বইটি ৷ সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি ৷ এরপর একে একে বিশ্বের একাধিক দেশে বইটির প্রকাশ, বিক্রি সব বন্ধ হয়ে যায় ৷ মাঝে প্রায় দু'দশক আত্মগোপন করেছিলেন তিনি ৷
ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ৩৩ বছর পর এই আক্রমণ করেন। তিনি একটি ফতোয়া জারি করেন। কিছু মুসলিম নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে উপন্যাসের অনুচ্ছেদগুলি নিন্দাজনক হিসাবে দেখেছিল।