মাথা ব্যথা কমল! সুপ্রিম রায়ে নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে স্যারিডন-সহ ৩ ওষুধ, জবাব তলব কেন্দ্রের

এই তিন প্রকার ওষুধ ১৯৮৮ সালের আগে উত্পাদিত 'ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন' (এফডিসি) হওয়া সত্বেও কেন সরকার এগুলিকে নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রাখল তা জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

Updated By: Sep 17, 2018, 05:30 PM IST
মাথা ব্যথা কমল! সুপ্রিম রায়ে নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে স্যারিডন-সহ ৩ ওষুধ, জবাব তলব কেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কেন্দ্রের দ্বারা নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকা থেকে মুক্তি পেল স্যারিডন, পিরিটন এবং ডার্ট। এদিনের সুপ্রিম রায়ের সৌজন্যে এই তিনটি ওষুধ এখন বিনা বাধায় বিক্রি করা যাবে। এই তিন প্রকার ওষুধ ১৯৮৮ সালের আগে উত্পাদিত 'ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন' (এফডিসি) হওয়া সত্বেও কেন সরকার এগুলিকে নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় রাখল তা জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

১৩ সেপ্টেম্বর মোট ৩২৮টি 'ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন'-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মুহূর্ত থেকেই ওইসব ওষুধের উত্পাদন, বণ্টন ও বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এই ৩২৮টি ওষুধের পাশাপাশি অন্যান্য আরও ৬টি ওষুধের উপর রাশ টানে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্চেই এই ওষুধগুলির উত্পাদন-বণ্টন-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। কিন্তু, বেশ কিছু ওষুধ উত্পাদনকারী সংস্থা সে বার বিভিন্ন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আরও পড়ুন- সেনার অনুগ্রহে যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার নেই, ইমরানকে কটাক্ষ ভিকে-র

ডিসেম্বর'১৭-তে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড (ডিটিএবি) সামগ্রিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং কেন্দ্রকে দেওয়া রিপোর্টে এফডিসি গুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দেয়। ডিটিএবি-র দাবি, এইসব ওষুধে রোগ নিরাময়ের কোনও গুণই নেই। বরং, মানব শরীরের ওপর এগুলির কুপ্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখ্য, অতীতে কেন্দ্র নিযুক্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও একই পরামর্শ দিয়েছিল। এরপরই, ডিটিএবি এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে সংশ্লিষ্ট ৩২৮টি 'ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন'-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আরও পড়ুন- বন্ধুর বিয়েতে উপহার ‘পাঁচ লিটার পেট্রোল’!

তবে, ১৯৮৮ সালের আগে উত্পাদিত স্যারিডন, পিরিটন এবং ডার্ট কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেও কেন্দ্র এ ক্ষেত্রে কী জবাবদিহি করে সে দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল। আরও পড়ুন- '২০১৯-এর ভোটের আগেই অযোধ্যায় শুরু হয়ে যাবে রাম মন্দির তৈরির কাজ'    

.