তিস্তা সিতলভাড়ের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ বজায় রাখল সুপ্রিমকোর্ট
সমাজকর্মী তিস্তা সিতলভাড় ও তাঁর স্বামীর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি রাখল সুপ্রিমকোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা সিতলভাড় ও তাঁর স্বামীর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি রাখল সুপ্রিমকোর্ট।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন তিস্তাকে হেফাজতে রাখতে হবে? আজ এই মামলার শুনানির সময় গুজরাত সরকারকে এই প্রশ্ন করে সুপ্রিমকোর্ট।
শীর্ষ আদালতের মতে এই ঘটনা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল।
তিস্তা সিতলভাড়ের আগাম জামিনের আবেদন খতিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালত।
তিস্তা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গুলবার্গ সোসাইটির একটি মিউজিয়ামের জন্য তৈরি তহবিল তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ২০০২ সালের গুজরাতের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এই গুলবার্গ সোসাইটিতে খুন হয়েছিলেন অন্তত ৬০জন। এরপরেই এই দাঙ্গায় ভুক্তভোগিদের পুনর্বাসনের জন্য একটি তহবিল তৈরি করা হয়।
তিস্তার আইনজীবী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল দাবি করেছেন গুজরাত সরকার শক্তির অপব্যবহার করে তিস্তাকে ফাঁসাবার চেষ্টা করছে। আজ সকালে গুজরাত হাইকোর্টে গ্রেফতারির আটকাতে তিস্তার আবেদন খারিজ করে দেয় গুজরাত হাইকোর্ট। তারপরেই গুজরাত পুলিসের একটি দল তাঁকে গ্রেফতার করতে মুম্বই পৌঁছে যায়।
তদন্তে সহায়তা করেননি তিস্তা। এই অভিযোগে আজ তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে গুজরাত হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে 'জনস্বার্থে' ও 'ন্যায় বিচারের স্বার্থে' তিস্তা সিতলভাড়কে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে রায় দেয় আদালত।
গুলবার্গ সোসাইটি মিউজিয়ামের জন্য সংগৃহীত ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার তহবিল তছরুপের যে অভিযোগ তিস্তা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন তিস্তা। প্রসঙ্গত, গুজরাত দাঙ্গায় আক্রান্তদের হয়ে বহুদিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন এই সমাজকর্মী।
গুলবার্গ সোসাইটি মিউজিয়ামের প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার পর তিস্তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেন ওই সোসাইটিরই ১২ জন বাসিন্দা। যদিও তিস্তার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এই 'মিথ্যে' অভিযোগ আনা হয়েছে।