স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে ৪ স্কুল পড়ুয়ার সমাজ বদলের ভাবনা!
ট্যাবু নয়। লজ্জা নয়। দরকার সচেতনতা। অশিক্ষা, অজ্ঞানতা মানেই অন্ধকার। এই অন্ধকার দূর করতে হবে। সমাজ বদলের 'গুরুদায়িত্ব' নিজেদের কাঁধে তুলে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল রাজকোটের চার স্কুল পড়ুয়া।
সুদেষ্ণা পাল
ট্যাবু নয়। লজ্জা নয়। দরকার সচেতনতা। অশিক্ষা, অজ্ঞানতা মানেই অন্ধকার। এই অন্ধকার দূর করতে হবে। সমাজ বদলের 'গুরুদায়িত্ব' নিজেদের কাঁধে তুলে, সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল রাজকোটের চার স্কুল পড়ুয়া।
সমীক্ষা বলছে, দেশের মাত্র ১২ শতাংশ মহিলা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকে। বাকি ৮৮ শতাংশ মহিলার মধ্যেই ঋতুস্রাবের সময় পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কোনও সম্যক সচেতনতা নেই। বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দাম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ন্যাপকিন কেনার পথে। ফলস্বরূপ, অত্যন্ত অপরিচ্ছন্নতা। যা থেকে প্রকারান্তরে বেড়েছে সারভাইকাল ক্যানসারের সম্ভাবনা।
এই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটাতেই এগিয়ে আসে রাজকোটের চার স্কুল পড়ুয়া। প্রথমে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তারা সংগ্রহ করে পুরনো কাপড় ও তোয়ালে। এরপর সেই পুরনো কাপড় আর তোয়ালে কেটেই তৈরি করে 'হোমমেড স্যানিটারি ন্যাপকিন'। যা একদিকে যেমন পরিচ্ছন্ন, তেমনই দামও কম।
তাদের তৈরি ওই 'স্যানিটারি ন্যাপকিন' নিয়ে তারপর তারা পৌঁছে যায় গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে। প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি, লজ্জা... শেষমেশ সব দ্বিধা সরিয়ে রেখে বাধ্য ছাত্রীর মত ওই স্কুল পড়ুয়াদের কাছে 'পরিচ্ছন্নতার পাঠ' নেয় গ্রামের মা-মেয়ে-বউরা।
ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে তাদের এই উদ্যোগ। জিতে নিয়েছে 'ডিজনি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড'ও।
আরও পড়ুন, বোতলে বালি ভরে তৈরি হল স্কুলের 'ইকো-ফ্রেন্ডলি' শৌচালয়!